অর্শ্ব বা পাইলস নাছোড় অসুখ। আক্রান্তরা তীব্র ব্যথা সহ্য করতে পারেন না। আগে বড় বয়সে এই অসুখ হলেও এখন আর তা সিনিয়রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এখন তরুণ-তরুণীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন পাইলসে। আর এ এমন অসুখ যা অনেকেই নিকটজনদের সঙ্গে শেয়ার করতে চান না। লজ্জা পান। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, অর্শ্ব রোগীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। বিশেষজ্ঞের অভিমত,পরিবর্তিত জীবনধারার প্রভাবেই বাড়ছে অর্শ্ব আক্রান্তের সংখ্যা। এর জন্য দায়ী তরুণদের পরিবর্তিত জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস।
পাইলসের লক্ষণগুলি কী কী?
পাইলসের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মলত্যাগের সময় ফুলে যাওয়া, মলত্যাগের সময় রক্তপাত, মলত্যাগের সময় হোঁচট খাওয়ার মতো অনুভূতি, মলত্যাগে জ্বালাপোড়া, চুলকানি। নিম্ন মলদ্বারে চাপ বৃদ্ধির কারণে অর্শ্বরোগ হতে পারে। যাঁরা মলত্যাগের সময় ব্যথায় ভোগেন, দীর্ঘক্ষণ ওয়াশরুমে বসে থাকেন, তাঁরা সময় থাকতে সাবধান হোন। নইলে দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
যে ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন
অনিয়ন্ত্রণ খাওয়াদাওয়া
দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রম বা কাজ করা
শাকসবজি, ফাইবার কম খাওয়া
অতিরিক্ত শরীরচর্চা
কীভাবে উপশম
-ফাইবার, শাকসবজি, ফলমূল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
-দিনে ৩-৫ লিটার জল পান করুন।
-অতিরিক্ত চা এবং কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- মদ্যপান কমিয়ে দিন।
-কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অর্শ্ব হতে পারে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য হলেই প্রতিকার করুন।
- নিয়ন্ত্রণ রেখে ব্যায়াম করুন। অতিরিক্ত শরীরচর্চা করবেন না।
কীভাবে পাইলসের নিরাময়?
সবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। নিজে থেকে এর চিকিৎসা করবেন না। অনেকে তুকতাক করতে যান। সেই চেষ্টা ভুলেও করবেন না। কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। সবার আগে প্রয়োজন ডাক্তারের কাছে গিয়ে এই রোগ নির্ণয় করা। রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা। ডায়েট বদল করুন।
আয়ুর্বেদ অনুসারে,পাইলসে আক্রান্ত ব্যক্তি লেবু খেলে উপকা পান। লেবু সহজে হজম হয়। পাইলসের কারণে জ্বালাপোড়া, ফোলাভাব থেকে পেট খারাপ হওয়া থেকে মুক্তি দেয়। ব্রাউন রাইস, ভুট্টা, ওটস এবং বার্লির মতো গোটা শস্যগুলিও পাইলস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন- শীতে বেড়েছে গাঁটের ব্যথা, ৫ ঘরোয়া উপায়ে কমান ইউরিক অ্যাসিড