স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অনেকে তেল একেবারে এড়িয়ে চলেন। তবে তেল ও ঘি একদম এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। কারণ শরীরকে ফিট রাখতে এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে নমনীয় রাখতে কার্যকর ভূমিকা নেয় ঘি ও তেল। এগুলি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন পায় আমাদের শরীর। তবে সব ধরনের তেলই শরীরের জন্য উপকারী নয়। বাজারে স্বল্পমূল্যে বিক্রি হওয়া রিফাইন্ড তেলে এমন একাধিক রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যা শরীরকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়। তাই এই ধরনের রিফাইন্ড তেলকে চিরতরে বিদেয় করুন। কারণ এগুলি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রিফাইন্ড তেল আসলে প্রাকৃতিক তেলেরই একটি রূপ। মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এটিকে খুব বেশি তাপমাত্রায় পরিশোধন করা হয়। এতে নানা ধরনের রাসায়নিকও মেশায় উৎপাদনকারীরা। তার পরে এতে কোনও গন্ধ বা স্বাদ থাকে না। ফলে প্রাকৃতিক তেলের সব পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। বাড়তে থাকে শরীরে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ। এ কারণে শরীরে হাই কোলেস্টেরল, ইনসুলিন এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যে কারণে কমে এইচডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ।
সয়াবিন তেল, চিনাবাদাম তেল, ক্যানোলা তেল, ভুট্টার তেল, সূর্যমুখী তেল এবং রাইন ব্রান- এই ৬টি রিফাইন্ড তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকর। চিকিৎসকরা বলছেন, এই ৬টি তেলের যে কোনও একটি রোজ ব্যবহার করা হলে শরীরে মেদ বাড়ে। কমে যৌন ক্ষমতা। এমনকি ক্যান্সার ও গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি বাড়ে। সেই সঙ্গে কমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ফলে অসুখ-বিসুখ ঘিরে ধরে শরীরকে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ৬টি রিফাইন্ড তেল থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
এই ৬ রিফাইন্ড তেলের পরিবর্তে কী খাবেন? সর্ষের তেল নিয়ে অনেকে আপত্তি করেন বটে। তবে সর্ষের তেল শরীরের জন্য উপকারী। নানাবিধ গুণ রয়েছে এতে। চিকিৎসকরা বলছেন, রিফাইন্ড তেলের পরিবর্তে সর্ষে, আমন্ড, নারকেল, তিল বা দেশি ঘি ব্যবহার করুন। এতে শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না ভিতর থেকে শক্তিশালী হয় শরীর। এই তেলগুলি শরীরের গঠনে এবং হরমোন উৎপাদনে সক্ষম। ওমেগা ৩ ফ্য়াট মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করে।
আরও পড়ুন- কালো-সাদা-লাল! কোন রং পছন্দ? জানুন আপনি কেমন মানুষ