বিয়ে। আধুনিক প্রজন্মের কাছে বেশ চিন্তার শব্দ। সকলেই বিয়ে নিয়ে ভাবিত। প্রেম তো করে ফেলেন। কিন্তু বিয়ের কথা এলেই বনবন করে ঘোরে মাথা! ভিড় করে হাজারো দুশ্চিন্তা। স্বাধীন জীবন কি পরাধীন হয়ে যাবে? নিমেষে চলে আসবে দায়িত্ব? বিয়ের ভয়কে 'কমিটমেন্ট ফোবিয়া'-ও বলেন অনেকেই। মোদ্দা কথা হল, বিয়ে এখন মূর্তিমান আতঙ্ক নতুন প্রজন্মের কাছে। কী পুরুষ কী নারী, সকলেই চেষ্টা করছেন যত বয়স পর্যন্ত ঠেকিয়ে রাখা যায়! আসলে ভারতীয় পরিবারে মা-বাবার চাপ তো বটেই আত্মীয়স্বজনরাও বলাবলি শুরু করেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাই বাধ্য হয়ে বিয়ে করতে হয়। নয়ের দশকের ছেলেমেয়েরা এই চাপ টের পাচ্ছেন। তাঁদের কাছে এটা চ্যালেঞ্জিং সময়। আচ্ছা বিয়ে না করে কি থাকা যায়? চলুন জেনে নিই বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন-
বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় দায়িত্ব নেওয়া বা স্বাধীন জীবনকে বাঁধাধরার মধ্যে আনার ব্যাপার তো থাকেই, সেই সঙ্গে এখন জুড়েছে ক্রমবর্ধমান বিবাহ বিচ্ছেদ। নারী-পুরুষ কেউ কারও সঙ্গে সমঝোতা করতে পারছেন না। তা থেকে সম্পর্কে চিড় ধরছে। সেই সঙ্গে প্রতারণা, গার্হস্থ্য হিংসার মতো ঘটনাও মনে ভীতি ধরাচ্ছে নবীন প্রজন্মের। তাই অনেকেই মনে প্রশ্ন আসছে,বিবাহ শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো অপরিহার্য? বিয়ে ছাড়া জীবন কি অর্থহীন? একা কি থাকা যায় না? আপনিও যদি এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তাহলে এই প্রতিবেদনে তার উত্তর পেয়ে যাবেন।
বিয়ে কী?
বিয়ে হল একটি সামাজিক ব্যবস্থা। যে ব্য়বস্থায় দু'জন মানুষ সারাজীবন একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিবার শুরু করে। আইন, নিয়ম, রীতিনীতি, বিশ্বাস দ্বারা বিবাহ সামাজিক স্বীকৃতি পায়। বিয়ের সঙ্গে আসে পরস্পরের প্রতি অধিকারবোধ ও কর্তব্যপালন।বিয়েতে দুজন মানুষ পরস্পরের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন।
আরও পড়ুন- স্বামীর কাছে এই ৫ কথা একদম বলবেন না, বিষিয়ে দিতে পারে সম্পর্ক
বিয়ে করা কি উচিত?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,বিয়ে করতে হবে এমন কোনও মানে নেই। বিয়ে করা বা না করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। আপনি কতটা প্রস্তুত!বিয়ে করা এবং একটি পরিবার শুরু করার চেয়ে সুখী হওয়া আরও গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি মনে করেন যে আপনি কাউকে বিয়ে করে সুখী হতে পারবেন, তাহলে অবশ্যই বিয়ে করুন।
সিঙ্গল থাকলে কোনও সমস্যা হবে না তো? বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি মনে করেন যে আপনি অবিবাহিত থেকে সুখী হতে পারেন, তাহলে আপনি বিবাহ ছাড়াই জীবনযাপন করতে পারেন। বৃদ্ধ বয়সে একা থাকার দুশ্চিন্তায় আজকের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না-ই বা করলেন। তবে দিনের শেষে সিদ্ধান্ত আপনার। আর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে আক্ষেপ করবেন, এমনটাও যেন না হয়। ফলে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।
এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেকেই বিয়ে করছেন না। বা বেশি বয়সে বিয়ে করছেন তাঁরা।