শরীর সুস্থ রাখতে ডায়েট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কী খাবেন এবং কী ভাবে খাবেন সেটা দরকারি। মানুষ প্রায়ই ভাত এবং রুটি সম্পর্কে বিভ্রান্ত হন, কোনটা আগে খাবেন? এই প্রতিবেদনে নিরসন করা হবে সেই সমস্যার। অনেক মানুষ মধ্যাহ্নভোজন এবং নৈশাহারে একসঙ্গে রুটি এবং ভাত খান। এটা কি স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক?
ভাত ও রুটি কি একসঙ্গে খাওয়া উচিত?
ভাত-রুটি একসঙ্গে নেওয়া উচিত নয়। তা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। চিকিৎসকরাও বারণ করেন। এতে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রুটি খেলে ভাত খাবেন না। আর ভাত খেলে রুটি পাতে রাখবেন না। এতে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। একসঙ্গে ভাত-রুটি খেতে অভ্যস্ত হলে প্রথমে রুটি খান, খিদে লাগলে সামান্য ভাত খেতে পারেন। এতে খুব বেশি মেদ জমে না।
ভারত ও রুটিতে কার্বোহাইড্রেট থাকে। যে কারণে শরীরে চর্বি জমতে শুরু করে। শরীরের গঠনও নষ্ট হয়ে যায়।
রাতের খাবারে সবসময় হালকা কিছু খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। যাতে সহজে হজম হয়। রাতের খাবারে রুটি না খাওয়াই শ্রেয়।
ডায়াবেটিসে কী করণীয়?
ভাত- ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মেপে দেখা উচিত। এমন খাবারই খাওয়া উচিত যার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৫-র কম। ব্রাইন রাইসের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৬৮। আর ৭৩ সাদা চালের ক্ষেত্রে। ডায়াবেটিস রোগীরা ভাত খেতে পারেন। তবে ব্রাউন রাইস খাওয়াই শ্রেয়। এতে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার থাকে।
রুটি- গমের রুটি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৬২। বেসনের আটার রুটির ৫২। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সাবুর রুটি দারুণ উপকারী।
আরও পড়ুন- পুরুষদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর খেজুর, বাড়ায় স্ট্যামিনা, কখন খেলে লাভ?