গরমের তীব্র দাবদাহে নাজেহাল সকলে। প্রচুর মানুষ গ্রীষ্মে ত্বকের নানা সমস্যায় পড়েন। এই সমস্যা এড়াতে অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করা সম্ভব। সূর্যের আলোয় সরাসরি আসা, ধুলো- ময়লা এবং চারপাশের দূষণ আপনার ত্বকের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। যার ফলে ব্রণ, কালো দাগ সহ এবং আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
আপনার গ্রীষ্মকালীন স্কিনকেয়ারে অবশ্যই কার্যকর সানস্ক্রিন যুক্ত করতে হবে। বছরের এই সময়টাতে ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখতে ঘরে তৈরি কিছু ফেস মাস্ক বা ফেস প্যাক লাগাতে পারেন। জানুন গ্রীষ্মে ত্বক উজ্জ্বল রাখতে বাড়িতে কীভাবে রূপচর্চা করবেন।
মধু, দই এবং গোলাপজল
একটি পাত্রে এক চামচ মধু, জল এবং গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। মুখে সমানভাবে প্রয়োগ করুন এবং প্রায় ১৫ মিনিটের জন্য ছেড়ে দিন। সবশেষে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ব্যবহারের পর, তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা দেখতে পাবেন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তারা অবশ্য এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করার সময়, একটু কম পরিমাণে মধু ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: মৌমাছি বা বোলতা হুল ফোটালে কী করবেন? এই ঘরোয়া টোটকায় বিষ কাটবে
মধু এবং দই উভয়ই আপনার ত্বক শীতল এবং ময়শ্চারাইজিং প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে গোলাপজল ত্বককে হাইড্রেট করে এবং একটি সতেজ আভা দেয়।
মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জল
মুলতানি মাটির সঙ্গে সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে লাগান। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক শুষ্ক মনে হলে, এর সঙ্গে দুধের সর যোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মে ত্বক শুষ্ক হয়ে জ্বালাপোড়া- চুলকানি হচ্ছে? জানুন সমাধানের সহজ উপায়
মুলতানি মাটি সূর্যের ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে দুর্দান্ত এবং এর শীতল প্রভাবও রয়েছে। এমনকী এটি আপনার ত্বকের টোনকেও ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
টমেটো, দই এবং লেবু
একটি টমেটো গ্রেট করে, কিছুটা দই এবং কয়েক ফোঁটা লেবু যোগ করুন। সব মিশিয়ে মুখে লাগান। এক বা দুই মিনিটের জন্য বৃত্তাকার গতিতে ম্যাসাজ করুন। আপনার মুখে মাস্কটি আরও ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং এরপরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। গ্রীষ্মকালে এটি দারুণ কার্যকরী এবং সম্পূর্ণরূপে পুনরুজ্জীবিত ফেসমাস্কগুলির মধ্যে একটি।
আরও পড়ুন: ৪০ পেরলেও কীভাবে ধরে রাখবেন যৌবন? রইল অ্যান্টি- এজিং স্কিনকেয়ার টিপস
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাগুণে সমৃদ্ধ টমেটো প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের ছিদ্র শক্ত করতে এবং একটি ভাল টোনার হিসাবে কাজ করে। লেবু ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকে এক্সফোলিয়েটিং প্রভাব ফেলে।
ওটস এবং আমন্ড
প্রায় ১০ টি আমন্ড সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন এবং পেস্ট করে নিন। এর সঙ্গে এক চামচ ওটস এবং কিছুটা দই মিশিয়ে নিন। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী আধ চামচ মধু বা গোলাপ জল যোগ করুন (শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য গোলাপ জল) এবং সমস্ত উপাদান একটি ভাল করে মিশিয়ে নিন। মুখে প্যাকটি লাগান এবং বৃত্তাকার গতিতে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। সবশেষে ১০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন: পিঁপড়ের উপদ্রবে নাজেহাল? এভাবে সহজে তাড়ান, রইল ঘরোয়া টোটকা
আমন্ড ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এবং ত্বককে নরম ও পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ওটস প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসাবে কাজ করে এবং ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে। এগুলি ব্ল্যাকহেডস দূর করতেও সাহায্য করে।
শসা এবং মধু
মধুর ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে শসার শীতল প্রভাব আপনার ত্বক থেকে গ্রীষ্মের বিভিন্ন সমস্যা দূরে রাখবে। শসা গ্রেট করে এতে কিছুটা মধু যোগ করুন। এরপর মুখে লাগান এবং 10 মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।