Bagdogra To Bangkok Direct Flight Set To Reseume: বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক পর্যন্ত বিমান ওঠানামা করার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা সহ একটি প্রতিনিধি দল শিলিগুড়িতে বাণিজ্যিক সংগঠন কনফিগারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (CII) এর সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন শিলিগুড়িতে।
দু'দিনের এই বৈঠকে সদর্থক আলোচনা হয়েছে দু'পক্ষের মধ্যে। সিআইআই-এর প্রতিনিধি সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, থাইল্যান্ডে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী লোক বেশি। দার্জিলিং-সিকিম সহ উত্তরে বহু মানুষ এই সম্প্রদায়ের রয়েছেন। সরাসরি বিমান চালু হলে পর্যটন বাড়বে। পাশাপাশি শিলিগুড়ি-সিকিম এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ প্রতি বছর ব্যাংকক-পাটায়া ঘুরতে যান। এই বিমান চালু হলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটবে শিলিগুড়ি সহ এই জোনের।
প্রতি বছর ভারত থেকে প্রায় এক কোটি পর্যটক থাইল্যান্ডে বেড়াতে যান বলে জানা গিয়েছে সংগঠন সূত্রে। তার মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার পর্যটক শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, সিকিম থেকে যান। আপাতত বাগডোগরা থেকে কলকাতা, দিল্লি এবং ভুটানের পারো হয়ে ব্যাঙ্কক যাওয়া যায়। ভুটানের বিমান সংস্থার ড্রুক এয়ারওয়েজ বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সপ্তাহে দুদিন করে মোট চারদিন ব্যাংকক যাতায়াত করে। তবে তা যায় ভায়া হয়ে। এবার সরাসরি বিমান চালু হলে সময় এবং খরচ দুই বাঁচবে।ফলে আরও বেশি পর্যটক আকৃষ্ট হবেন বলে যারা মনে করা হচ্ছে।
শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি হোটেলে দুদেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে এই বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা। ছিলেন সে দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীও। বাগডোগরার মাধ্যমে, থাইল্যান্ড, ভুটান ইতিমধ্যেই আকাশপথে সরাসরি যুক্ত হয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক এই পথে সরাসরি বিমান চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে শুধু থাইল্যান্ড থেকেই নয় সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া থেকে পর্যটকেরা উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং সিকিম আসতে পারবেন। আবার উল্টোপথে এদেশ থেকেও যেতে পারবেন তাঁরা।
এর আগে ২ বছর বন্ধ থাকার পর বাগডোগরা থেকে ভুটানের ড্রুক এয়াররওয়েজের মাধ্যমে ব্যাংককে উড়ান শুরু হয়েছে ২০২২ সালে। তবে দেশি কোনও বিমান নয়, ভুটানের সরকারি এয়ারলাইন্স ড্রুক এয়ারের উড়ানে যেতে হচ্ছে ব্যাংকক। সপ্তাহে দুই দিন সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দিন পারো-বাগডোগরা-ব্যাংককের মধ্যে চলাচল করছে এই বিমান।
করোনার সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল উড়ান
এর আগে নিয়মিত চললেও ২০১৯ সালে করোনার সময়ে যখন সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তখন এটিও বন্ধ হয়ে যায়। ভারত-থাইল্যান্ড যাতায়াত শুরু হলেও ভুটান এতদিন বন্ধ ছিল। ৪ জুলাই সোমবার থেকে ভুটানে যাতায়ত শুরু হয়ে যাওয়ায় উড়ানেও বাধা থাকছে না। ফলে বিমান চলাচল শুরু হয়। বাগডোগরা থেকে এই বিমানটি ছা়ড়া সরাসরি ব্যাংকক পর্যন্ত অন্য কোনও বিমান নেই। তাই এতদিন বন্ধই ছিল।