
ভারতে ওমিক্রনের দাপটে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন ২ লক্ষের বেশি মানুষ। ডেল্টার তুলনায় এবার মৃত্যু অনেক কম। আক্রান্তদের হাসপাতালেও ভর্তি করাতে হচ্ছে না। কোভিডের ওমিক্রন প্রজাতি অতিসংক্রামক হলেও ভারতে তেমন আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠতে পারেনি। তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মার্কিন রোগ বিশেষজ্ঞ এবং মেরিল্যান্ড ইউসিএইচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট চিকিৎসক ফহিম ইউনূস।
ফহিম ইননূসের অভিমত, ভারতে অধিকাংশেরই টিকার জোড়া ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে ডেল্টায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বহু মানুষ। ফলে শরীরে তৈরি হওয়া প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কঠিন চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারেনি ওমিক্রন।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর ও ২০২১ সালের নভেম্বরের সাপ্তাহিক রেখচিত্রের তুলনা করে ইউনূস টুইট করেছেন,ভারত ও পাকিস্তানে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি ও মৃতের সংখ্যা কম। এর কারণ আক্রান্তদের গড় বয়স কম, টিকাকরণ ও গত কোভিড ঢেউয়ে তৈরি হওয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা। আরও চার সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। তবে বারবার প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বিভ্রান্ত করা ভাইরাসের পক্ষে কঠিন কাজ।
কোভিড সংক্রান্ত নানা বিষয় নেটমাধ্যমে শেয়ার করেন ফহিম ইউনূস। ওমিক্রনের দাপটে ভারতে কোভিড সংক্রমিত ৪ কোটির বেশি হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে ৫৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মৃত ৪ লক্ষ ৯১ হাজার পেরিয়ে গেল। সক্রিয় করোনা আক্রান্ত প্রায় ২২ লক্ষ।