
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ডাল। প্রোটিন, ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট যা শরীরে পুষ্টির চাহিদা মেটায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ডাল হল 'সুপারফুড'। দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড সুগার ম্যানেজমেন্টে ডাল-এর ভূমিকা নিয়ে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, ডাল খেলে শরীরের গ্লাইসেমিক কন্ট্রোল অনেক উন্নত হয়, ফলে ওজন কমে, যা ব্লাড সুগার কমানোর জন্য অত্যন্ত জরুরি।
টাইপ টু ডায়াবেটিস-এর ক্ষেত্রে শরীরে লিপিড বেড়ে যায়, কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজম কমে যায়। এই ধরনের ডায়াবেটিস-এর মোকাবিলা করতে শরীরের ওজন কমাতে হবে এবং কারবোহাইড্রেট মেটাবলিজম বাড়াতে হবে। এই কাজে সবচেয়ে পারদর্শী হল ডাল। বিভিন্ন ভিটামিন-এর পাশাপাশি ডালে থাকে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম। থাকে ফাইবার, যার কারণে ডালে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম। অর্থাৎ, ডাল খাওয়ার পর রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ার গতি কমে যায়। গবেষণা বলছে, আপনি যদি ব্লাড সুগারের রোগী হন, সেক্ষেত্রে ডাল খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর যদি সপ্তাহে অন্তত একদিন করে এই ৩ ধরণের ডাল খান, ব্লাড সুগারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে অন্তত ৩০ শতাংশ বা তার বেশি। জেনে নিন কোন ৩ ডাল ব্লাড সুগারের যম?
মুগডাল
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মুগডাল খুবই উপকারী। কারণ এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৪৩। মুগ ডাল রক্তে শর্করার মাত্রা প্রতিরোধ করে। এতে রয়েছের পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং কপারের মত মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বিউলির ডাল
এই ডালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৪৩। ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বিউলির ডাল খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা রক্তে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ৪কমায়। বিউলির ডালে থাকে পটাশিয়াম যা রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না, ব্লাড প্রেশার-ও কমায়।
ছোলার ডাল
ছোলার ডালে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ ৮। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন-ও আছে। শুধুই ব্লাড সুগার কমায় না, ছোলার ডাল কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। এই ডালে থাকে ফলিক অ্যাসিড যা অ্যানিমিয়া দূর করে।