বাস্তুতে তুলসীর বিবিধ উপকারিতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শুধু বাস্তুই নয় তুলসী পাতার কার্যকারিতা জানলে চমকে উঠবেন। সাধে কি আর তুলসীকে আয়ুর্বেদিক গাছ বলা হয়! তুলসী পাতা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা করে তুলসী। তাছাড়া সর্দি-কাশির নিরাময়েও তুলসীর তুলনা হয় না। ঠান্ডা লাগলে একটা সময়ে বাড়ির বড়রা তুলসী খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। তুলসী পাতা মুখের জন্যও উপকারী। পুজোর আগে তুলসী পাতা দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন টোনার ও ফেসপ্যাক।
পুজোয় বাঙালি নিজেকে সেরা দেখতে চায়। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরার সময় যেন নজর তাঁর দিকেই থাকে। পুজোর আর ১ মাসও বাকি নেই। তার আগেই ফেরান ত্বকের জেল্লা। রাসায়নিক যুক্ত ক্রিম বা ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে হিতে হয় বিপরীত। তা ঘরোয়া উপায়ে পান ঊজ্জ্বল ত্বক। প্রাকৃতিক উপাদান তুলসী দিয়েই তৈরি করুন ফেসপ্যাক।
সব বাড়িতেই থাকে তুলসী। আয়ুর্বেদে তুলসী সঞ্জীবনী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে ত্বককে ঊজ্জ্বলও করে। আমেরিকান জার্নাল অফ এথনোমেডিসিনের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তুলসীতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। এছাড়া বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও রয়েছে। এই উপাদানগুলি ত্বকের জন্য ভাল। কোষের ক্ষতি হতে দেয় না।
তুলসী রক্তকে শোধন করে। ত্বকের সংক্রমণ দূর করতেও তুলসী সহায়ক। ব্রণ থেকে মুক্তি দেয়। স্কিন টোনার হিসেবেও তুলসী উপকারি। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের টোনিংয়ে সাহায্য করে। টোনার হিসেবে তুলসী পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য জলে তুলসী পাতা ফুটিয়ে নিন। জলের রং সবুজ হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা করে সেই জল একটি স্প্রে বোতলে রেখে দিন। ব্যবহার করুন টোনার হিসেবে।
তুলসীর ফেসপ্য়াকও বানাতে পারেন। এজন্য হলুদ মিশিয়ে নিন। কাঁচা হলুদ ও তুলসী ভাল করে পিষে নিন। তা ফেসপ্যাক হিসেবে মুখে লাগান।