বর্তমান জীবনযাপনে ইউরিক অ্যাসিড মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউরিক অ্যাসিড হল এমন বিষাক্ত পদার্থ যা শরীরে তৈরি হয়। এবং কিডনি সেগুলোকে ফিল্টার করে প্রস্রাবের মাধ্যমে সহজেই বাইরে বের করে দেয়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার জন্য দায়ী অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়া। পিউরিন-সমৃদ্ধ খাবার, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়, মাছ, সামুদ্রিক খাবার খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ৭.০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর বেশি হতে পারে। প্রাকৃতিক উপায়ে ইউরিক অ্যাসিড কমালে শরীরে জন্যও তা স্বাস্থ্যকর। তাই গাদা গাদা ওষুধ না খেয়ে একটি পাতার বাটা খান, তাতেই কমবে ইউরিক অ্যাসিড।
শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি হওয়ার কারণে স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে, যেমন হাত-পায়ের গাঁটে ব্যথা, হাড়ে ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া। ইউরিক অ্যাসিড বেশি হলে তা স্ফটিকের আকার ধারণ করে এবং অস্থিমজ্জায় জমা হয়। যে কারণে হয় ব্যথা। ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণে কিডনি এবং স্থূলতার শিকার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। একাধিক গবেষণা বলছে, উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড টাইপ ২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ায়। পুষ্টিবিদদের মতে,চা, অ্যালকোহল, সিগারেট এবং তামাক জাতীয় খাবার দ্রুত ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়। তাই এগুলি এড়িয়ে চলুন। তেমনই এমন খাবারও রয়েছে যা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়েটে সবুজ ধনেপাতা রাখলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কীভাবে খাবেন সবুজ ধনেপাতা-
ধনেপাতার পুষ্টিগুণ
ধনেপাতা সবার বাড়িতেই মেলে। যা শুধু স্বাদই বাড়ায় না খাবারকে দেখতেও সুন্দর করে তোলে। ধনেপাতা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ক্যারোটিন, থায়ামিন, পটাসিয়াম, ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট এবং খনিজ পদার্থ। পুষ্টিগুণে ভরপুর সবুজ ধনেপাতা খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং কিডনি সুস্থ থাকে।
কিডনির কাজ হল রক্ত ফিল্টার করা এবং এতে উপস্থিত টক্সিন শরীর থেকে বের করে দেওয়া। সবুজ ধনেপাতা কিডনিকে ডিটক্স করে এবং সুস্থ রাখে। যাঁদের কিডনিতে পাথরের সমস্যা আছে তাঁরা নিয়ম করে সবুজ ধনেপাতা খান। কিডনি যদি ঠিকমতো কাজ করে তাহলে তা সহজেই রক্ত থেকে টক্সিন ফিল্টার প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেবে।
কীভাবে খাবেন-
ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস সবুজ ধনেপাতা পান করুন। সবুজ ধনেপাতার জল কিডনির পাথর দূর করে। বাড়ায় কিডনির কার্যকারিতা। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করে। ধনে পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহ-বিরোধী। যা গাঁটের ব্যথা এবং ফোলা থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন- রান্নাঘরের এই ৫ মশলা মহষৌধি, মোমের মতো গলায় কোলেস্টেরল