শীতে অনেকের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্য়া বেড়ে যায়। পায়ের আঙুলে ব্যথা, গোড়ালি, অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরান অনেকে। আসলে খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম আর সারাদিন কাজের চাপে বাড়ে ইউরিক অ্যাসিড। রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে বিবিধ সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। তাই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ দরকার।
খাবার হজমের সময়ে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। যা মূত্রের স্বাভাবিক উপাদান। মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন খেলে বা ওজন বাড়লে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড মূত্রের মাধ্যমে বের করে দিতে পারে না কিডনি। তখন ইউরিক অ্যাসিড শরীরের অস্থিসন্ধি ও মূত্রনালিতে জমে। সেই ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টালের আকার নেয়। গাঁটে ব্যথা শুরু হয়। কিডনিতে পাথরও জমতে পারে। ফলে এমন খাবার খাওয়া চলবে না, যাতে ওজন বেড়ে যায়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি। দিনে সাড়ে ৩ থেকে ৪ লিটার জল খাওয়া দরকার।
আর কী কী কারণে বাড়ে ইউরিক অ্যাসিড?
-কিডনির রোগ
-ডায়াবেটিস
-হাইপোথাইরয়েডিজমও
-ক্যান্সার বা কেমোথেরাপি
- চর্মরোগ
কী খাবেন না?
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করুন। মাংস,মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন। যা ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। অস্থিসন্ধিতে অত্যধিক ইউরিক অ্যাসিড জমা হলে গাঁটের ব্যথা হয়। তাই মাছ বিশেষ করে ইলিশ খাবেন না। বাদ দিন মাংস। তবে নিরামিষ খাবেন এমনটা নয়। মাংস ও মাছ খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন। যা খাবেন না
- মুরগি
- রেড মিট
- গলদা চিংড়ি
-চিংড়ি
- ইলিশ
অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডযুক্ত শাকসবজি, ফল এবং লেবু খাওয়া উচিত নয়। অনেক নিরামিষ খাবারেও উচ্চ পরিমাণে পিউরিন থাকে। যা খাবেন না
- মাশরুম
- মটরশুটি
-মটর
- ডাল
-কলা
-অ্যাভোকাডো
-আনারস
হাড় ও কিডনির উপরেই প্রভাব ফেলে ইউরিক অ্যাসিড। খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানলেই তা এড়ানো সম্ভব।
আরও পড়ুন- শরীরে এই সব সমস্যা থাকলে দই বিষের সমান, একদম খাবেন না