গরম পড়তে না পড়তেই বাজারে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ (watermelon)। গরমের ফল হিসেবে কম বেশি সকলেরই পছন্দ তরমুজ। শরীর ঠান্ডা করে আবার গলাও ভেজায় এই ফল। এবছর তরমুজের ফলন খুব ভাল হয়েছে। তাই কলকাতা-সহ সব ফলের বাজারে গেলেই চোখে পড়ছে প্রচুর তরমুজ। ফলের আগুন দামের মধ্যে একমাত্র তরমুজই কম দামে মিলছে। কিন্তু যে তরমুজ কিনছেন, তা মিষ্টি হবে নাকি পানসে বুঝবেন কীভাবে?
সাধারণত বাজারে দু’ধরনের তরমুজ দেখতে পাওয়া যায়। একটি সম্পূর্ণ সবুজ, আরেকটি ডোরাকাটা। কলকাতার সবথেকে বড় ফলের বাজার মেছুয়া ফল বাজারের তরমুজ বিক্রেতারা বাজার থেকে তরমুজ কেনার সময় পাঁচটি বিষয় খেয়াল রাখতে বলছেন। কী সেই পাঁচ বিষয়?
তাঁদের মতে, প্রথমেই বাজারে গিয়ে এমন একটি তরমুজ পছন্দ করুন, যা আকারে বেশি বড়ও নয় আবার ছোটও নয়। মাঝারি সাইজের তরমুজ খুঁজে পেলে তা হাতে নিয়ে আনুমানিক ওজন বুঝতে চেষ্টা করুন। যদি আকৃতির তুলনায় ওজন বেশি মনে হয়–এমন তরমুজই হবে আপনার জন্য পারফেক্ট। কেননা, যেসব তরমুজ প্রাকৃতিকভাবে পেকে লাল রঙ ধারণ করে রসে পূর্ণ হয়ে যায়, সেগুলো আকারের তুলনায় বেশি ভারী হয়ে থাকে। মানে সাইজ দেখে ওজন ঠাহর করা যাবে না।
বিক্রেতাদের দ্বিতীয় টিপস- তরমুজের বোঁটার অংশ। পাকা তরমুজের বোঁটা হবে বাদামি। বেশি পাকা হলে এই বোঁটা খসে পড়ে যেতে পারে। কিন্তু কাঁচা তরমুজের বোঁটা থাকবে সবুজ রঙের। তাই লাল তরমুজ কিনতে চাইলে সবুজ রঙের বোঁটার তরমুজ একদমই কিনবেন না।
তৃতীয়ত এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আওয়াজ। এ ব্যাপারে একমত ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই। ভাল তরমুজ কিনতে যে বিষয়টি মাথায় রাখবেন সেটি হল তরমুজের গায়ে আঘাতের শব্দ। কাঁচা তরমুজের গায়ে আঘাতের শব্দ যদি ট্যাপ ট্যাপ হয়, তবে তা লাল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর যদি আঘাতের শব্দ ড্যাপ ড্যাপ হয়, তবে তরমুজটি লাল।
ভালো তরমুজ কিনতে ক্রেতারা চার নম্বর যে বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেবেন সেটি হল তরমুজের রঙ। গাঢ় রঙের তরমুজ কাঁচা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অন্যদিকে যে তরমুজের রঙে একটু হলুদাভ রয়েছে, তা লাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, মাটিতে বেশি সময় ধরে সূর্যের আলোয় থেকে পাকার সুযোগ পাওয়ায় এ ধরনের তরমুজের বেশিরভাগই লাল হয়।
আরও পড়ুন- শরীরে এই ৫ সমস্যা থাকলে কলা একদম খাবেন না, কিডনি বিকলের ঝুঁকি