তরমুজ শুধু খেতেই ভাল নয়, গরমে শরীরকে হাইড্রেট রাখতেও সাহায্য করে। তরমুজের উপকারিতার কথা সকলেই জানেন। কিন্তু এর বীজের উপকারিতার বিষয়ে জানেন কি? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, তরমুজ খাওয়ার সময় যে বীজগুলো আমরা ফেলে দিই সেগুলি আসলে শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এর বীজ ফলের মতোই পুষ্টিকর। চলুন তরমুজের বীজের উপকারিতা এবং সেগুলি খাওয়ার সঠিক উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
তরমুজের বীজের পুষ্টিগুণ
তরমুজের বীজ আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক এবং হেলদি ফ্যাটের একটি চমৎকার উৎস। ৪ গ্রাম তরমুজের বীজে প্রায় ০.২৯ মিলিগ্রাম অ্যারিয়ন, ২১ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, পলিআনস্যাচুরেটেড এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। শরীরে এই উপাদানগুলির উপকারিতা কারও অজানা নয়।
স্থূলতা থেকে মুক্তি
তরমুজের বীজের পুষ্টিগুণ এটিকে একটি দুর্দান্ত সুপারফুড করে তোলে। এর মধ্যে ক্যালোরি খুব কম থাকে। কম ক্যালরিযুক্ত খাবার হওয়ায়, যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁদের জন্য এটি খুবই কার্যকরী। স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করে অনেক মারাত্মক রোগও এড়ানো সম্ভব।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে
তরমুজের বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মূলত তরমুজের বীজে থাকা ম্যাগনেসিয়ামের কারণেই এমনটা হয়। এটি কার্বোহাইড্রেট নিয়ন্ত্রণ করে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও সাহায্য করে।
চকচকে ত্বক
ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জিঙ্কের মতো পুষ্টিতে ভরপুর, তরমুজের বীজ ত্বকের জন্যও খুব ভাল। এটি শুধুমাত্র স্কিন টোনই উন্নত করে না বার্ধক্য প্রক্রিয়াকেও ধীর করে দেয়। তরমুজের বীজ থেকে প্রাপ্ত তেল ত্বকের যত্নকারী বহু পণ্যে ব্যবহার করা হয়।
তরমুজের বীজ খাওয়ার সঠিক উপায়
তরমুজের বীজ খাওয়ার জন্য প্রথমে সেগুলিকে ভাল করে ভাজুন। তারপর একটি বাক্সে রেখে দিন। সকালের ডায়েটে এই বীজ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এছাড়াও স্যালাড, ওটস, টোস্ট বা অন্য কোনও বীজ বাদামের সঙ্গে মিশিয়েও এগুলি খাওয়া যায়।
আরও পড়ুন - 'কেন ফোন নম্বর দেব?' Decathlon ট্যাগ করে ট্যুইট ক্ষুব্ধ মহুয়ার