এ বছর ভারতে শীত পুরোনো সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে। সারা উত্তর ভারতে তাপমাত্রা ক্রমাগত নামছে। শীত ও শৈত্যপ্রবাহ মানুষকে রীতিমতো বিপাকে ফেলেছে। উত্তর ভারতের কয়েকটি পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে মানুষের জীবন রীতিমতো সমস্যার সম্মুখীন। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি বা তারও নিচে চলে গিয়েছে। শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং চলছে বাংলাতেও। এই পরিস্থিতিতে মানুষ ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে নানা ধরনের উপায় অবলম্বন করছেন। সেক্ষেত্রে একাধিক গরম পোশাক তো পরছেনই, এমনকী শরীর উষ্ণ রাখার জন্য কেউ কেউ রাতে মোজা পরেও ঘুমোচ্ছেন। কিন্তু মোজা পরে ঘুমানো কি ঠিক? এমনটা করলে কি স্বাস্থ্যে কোনও প্রভাব পড়তে পারে? অর্থাৎ এর কি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঠান্ডার দিনে মোজা পরা ভুল নয়, তবে যদি আগে থেকেইস্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যা না থাকে তো। ঠাণ্ডা থেকে পা রক্ষা করা ভাল অভ্যাস। এটি মানুষকে সারা শীত জুড়ে সুস্থ রাখে। চিকিৎসকরা বলছেন, পায়ে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা লাগে। তাই পা গরম রাখতে মোজা পরা ভাল। কারণ ঠান্ডায় রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়ে যায় এবং সেটি রক্তচাপকে প্রভাবিত করে।
এমতাবস্থায় অনেকেই মোজা পরে ঘুমাতে আরাম পান। আর তাতে কোনও সমস্যাও নেই। কারণ ঠান্ডার দিনে রাতে মোজা পরে ঘুমালে পায়ের ভাল যত্ন নেওয়া যায়। এছাড়া ঠাণ্ডায় গোড়ালি ফাটার সমস্যাতেও অনেকে ভোগেন। সেক্ষেত্রে মোজা পরলে সেই সমস্যাও দূর হয়।
শুধু তাই নয়, রাতে মোজা পরে ঘুমালে ঠান্ডার দিনে রক্ত চলাচলও ভাল থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে মোজা যেন সুতির হয় এবং পরিষ্কার থাকে। কারণ সুতি ছাড়া অন্য কোনও মেটেরিয়ালের মোজা দীর্ঘক্ষণ পরে থাকলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অন্যদিকে কিছু বিশেষজ্ঞ আবার বলছেন যে এটি স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। আঁটোসাঁটো মোজা পরলে রক্ত সঞ্চালন প্রভাবিত হতে পারে। যদি কোনও চোট থাকে, তাহলে মোজা পরে ঘুমালে সমস্যা বাড়ত পারে। কারণ মোজা পরলে ক্ষতস্থানে ইনফেকশন হতে পারে এবং তা শুকাতে বিলম্ব হতে পারে।
আরও পড়ুন - 'সাগর থেকে পাহাড় যাত্রা', TMC ছাড়া সমস্ত বিজেপি বিরোধীদের আমন্ত্রণ অধীরের