Advertisement

Weight Loss Tips: রুটি খেয়েই কমান পেটের চর্বি, খালি স্টাফিং করুন এই জিনিস

বেড়ে গিয়েছে কোমরের মাপ। থলথল করছে চর্বি। আর ওজন হ্রাস করা যে পাহাড় চড়ার কাজ। নিয়ম মেনে কঠোর ডায়েট, ওয়ার্কআউট করলে প্রতিকার মেলে। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে এই নিয়ম মেনে চলা সম্ভব নয়। তাই খাবারে সামান্য পরিবর্তন আনলেই ওজন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

রুটিতে স্টাফিং রাখুন।  রুটিতে স্টাফিং রাখুন।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 22 Jul 2022,
  • अपडेटेड 1:08 PM IST
  • ওজন কমাতে ছাতুর রুটি ভাল বিকল্প বলে মত পুষ্টিবিদদের। 
  • রুটি ঠিকমতো স্টাফ করা হলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। শীঘ্রই স্থূলতা থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব।

Sattu Roti To Burn Belly Fat: বর্তমান নগরজীবনে ওজন বৃদ্ধির সমস্যা কমবেশি সকলেরই। বিশেষ করে সারাদিন যাঁরা অফিসের ডেস্কে কাজ করেন, তাঁরা বেশি স্থূলতার শিকার। গত ২ বছরে করোনা অতিমারির জেরে লকডাউন, তার পর ওয়ার্ক ফ্রম আরও ফুলিয়ে দিয়েছে মানুষকে। দীর্ঘ সময় শারীরিক কসরত হয়নি। এর প্রভাব সরাসরি পড়েছে পেট ও কোমরে। স্ফীত হয়েছে উদর। বেড়ে গিয়েছে কোমরের মাপ। থলথল করছে চর্বি। আর ওজন হ্রাস করা যে পাহাড় চড়ার কাজ। নিয়ম মেনে কঠোর ডায়েট, ওয়ার্কআউট করলে প্রতিকার মেলে। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে এই নিয়ম মেনে চলা সম্ভব নয়। তাই খাবারে সামান্য পরিবর্তন আনলেই ওজন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। ওজন কমাতে ছাতুর রুটি ভাল বিকল্প বলে মত পুষ্টিবিদদের। 

পুষ্টিবিদরা বলছেন, রুটি ঠিকমতো স্টাফ করা হলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। শীঘ্রই স্থূলতা থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব। ছাতুর রুটি বাড়িতেই বানানো সম্ভব। ছোলা থেকে তৈরি ছাতুর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ছাতু খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। যার ফলে হজমশক্তিও ঠিক থাকে। প্রতিদিন ছাতুর রুটি খেলে মেদ কমানো সম্ভব। 

ছাতুর রুটি কী ভাবে বানাবেন?

আরও পড়ুন

আটার মতো ছাতুর রুটি তৈরির নিয়ম। যা লাগবে- ২ বাটি আটা, ১ বাটি ছাতু, ১টি কাটা পেঁয়াজ, ১ চা চামচ কাটা রসুন, ১ চা চামচ আদা, ১ চা চামচ তেল, ২টি কাটা লঙ্কা, এক চা চামচ ধনেপাতা এবং নুন। 

প্রথম আটা ভাল করে মেখে নিন। রুটি করার জন্য গোল গোল করে নিন। অন্যদিকে, ছাতু এবং অন্যান্য় উপাদান দিয়ে স্টাফিং করে নিন। এবার সেই পুর ভরে দিন আটায় গোল লেচিতে। এবার ভাল করে বেলে নিন। এবার রুটি সেঁকে নিন। 

স্থূলতার শত্রু

এছাড়া ছাতুর ঘোলও খেতে পারেন। ছাতুর দীর্ঘদিন পেটভর্তি রাখে। ফলে খিদে পায় না চট করে। এজন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ছাতুতে রয়েছে খনিজ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস। যা শরীরের ক্লান্তি দূর করে তাৎক্ষণিক এনার্জি দেয়।

Advertisement

পেটের সমস্যার প্রতিকার

ছাতু পেট ঠান্ডা রাখে। গ্রীষ্মকালে ছাতু খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনা এড়ানো যায়। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ছাতু।

রক্তের জোগান 

শরীরে রক্তের অভাব দূর করে ছাতু। প্রতিদিন জলে ছাতু মিশিয়ে খেলে উপকার মেলে। 

ডায়াবেটিস সমস্যা

শরীরে ক্রমবর্ধমান গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখে ছাতু। প্রতিদিন ছাতু খেলে ডায়াবেটিস রোগীরা শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। 


কী করবেন না

- অতিরিক্ত ছাতু খেলে পেটে গ্যাস তৈরি হয়। তাই বেশি খাবেন না। 
- স্টোন থাকলে ছাতু খাবেন না। 
- বর্ষাকালে খোলা ছাতু কিনবেন না।
- ছাতু খাওয়ার পর জল মাস্ট। দিনে এক থেকে দু'বার ছাতু খান।

Read more!
Advertisement
Advertisement