ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজন নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্য। সবাই এগুলো করতে পারেন না। ফলে দিন দিন তাঁদের ওজন বাড়তে থাকে। আজ এমন একজন মহিলার ওজন কমানোর ঘটনা জানাব যিনি ৪০ বছর বয়সে ২৮ কেজি ওজন কমিয়েছেন।
যে সমস্ত মহিলারা মনে করেন যে, তাঁরা ঘরের কাজ বা অফিসের কাজের কারণে নিজেকে ফিট রাখতে পারছেন না, তাঁদের জন্য এই কাহিনি উদাহরণ হয়ে থাকতে পারে। কারণ, সংসারের দায়িত্ব সামলেও এই মহিলা ওজন কমাতে পেরেছেন।
নাম: শাম্ভবী ভাল্লা
বয়স: ৪০ বছর
চাকরি: ডেন্টিস্ট সিটি
হরিয়ানা উচ্চতা: ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, ১৬৫ সেমি
সর্বোচ্চ ওজন: ৮৬ কেজি
বর্তমান ওজন: ৫৮ কেজি সর্বোচ্চ
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: ফিটনেস প্রশিক্ষক হওয়া
Aajtak-কে শাম্ভবী জানান, তাঁর ওজন একদিনে কমেনি। তিনি আগেও ওজন কমানোর অনেকবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে তিনি আশাহত হননি। চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন।
ওজন কীভাবে বাড়ল ?
শাম্ভবী জানান, প্রথম থেকেই তাঁর ওজন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ছিল। ২ সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর ওজন আরও বেড়ে যায়। তখন তিনি হতাশায় ভুগতে শুরু করেন। সন্তানদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়তেন। তখনই ঠিক করেন যেমন করেই হোক ওজন কমাবেন।
প্রথমে তিনি ইন্টারনেটে ওজন কমানোর পদ্ধতি দেখে সেই মোতাবেক জীবন-যাপন করতে শুরু করেন। তাতে কিছুটা ওজন কমিয়েও ফেলেন। কিন্তু ফের ওজন বাড়তে শুরু করে। কারণ কত ক্যালোরি নেওয়া উচিত, কী খাওয়া উচিত ও উচিত নয়, সেই সম্পর্কে তাঁর কাছে সঠিক তথ্য ছিল না। এরপর তিনি একজন প্রশিক্ষক নিয়োগ করেন। তাঁর পরামর্শ মতো ডায়েট এবং ওয়ার্কআউট পরিকল্পনা করেন।
আরও পড়ুন : PK-কে ৫০০ কোটির অফার TRS-এর, দাবি কংগ্রেসের
এরপর থেকে তাঁর ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে শুরু করে। ধীরে ধীরে প্রায় ২৮ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেন তিনি। এখন তাঁর ওজন মাত্র ৫৮ কেজি। ৩ বছরের মধ্যে তিনি এই কাজ করেছেন।
কী কী খেতেন ?
ব্রেকফাস্ট: ব্রেড অমলেট, কফি ও একটি আপেল
লাঞ্চ: ২ টো চাপাতি, ২টো ডিম, দই সালাদ
স্ন্যাকস : আপেল, খেজুর
ডিনার: পনির ভুজিয়া, ভাত বা রুটি
শাম্ভবী জানান, তিনি আগে জিমে যেতেন। যখন তিনি ওজন কমাতে শুরু করেন, তখন লকডাউন চলছিল। তাই তিনি বাড়িতেই ওয়ার্কআউট করতে শুরু করেন। পরে ফের জিমে যেতে শুরু করেন।
কী কী ব্যায়াম করতেন?
ওই গৃহবধূ জানান, বাড়িতে থাকাকালীন তিনি ডেডলিফ্ট, স্কোয়াট, বেঞ্চ প্রেস, পুলআপ ইত্যাদি করতেন। এছাড়াও প্রতিদিন অন্তত সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতেন। গত ৩ বছরে ২ থেকে ৩ দিন ওয়ার্কআউট মিস করেছেন। এছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন।