উৎসব মানেই পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আড্ডা আর সঙ্গে প্রচুর খাওয়াদাওয়া। ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে দুর্গাপুজো। সামনে রয়েছে দীপাবলি, জগদ্ধাত্রী পুজো, কার্তিক পুজো। তাই লাগাতার জারি থাকবে উৎসব ও আদন্দ। তবে এই উৎসবের মরশুমে অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়ার কারণে অনেক সময় ফিটনেসে প্রভাব পড়ে। বেড়ে যায় ওজন। দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্থূলতার কারণ হল ভুল জীবনযাত্রা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার। তাই উৎসবের এই ভরা মরশুমে যখন স্থূলতা বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য রয়েছে কয়েকটি টিপস। এগুলি মেনে চললে উৎসবের আনন্দও যেমন বজায় থাকবে, তেমনই ভাল থাকবে স্বাস্থ্যও।
পর্যপ্ত ঘুম - বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘুমের সঙ্গে দেহের ওজনের সম্পর্ক রয়েছে। তাই যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে পর্যাপ্ত ঘুম অবশ্যই দরকার। অপর্যাপ্ত ঘুম ওজন কমানোর যাত্রাকে দীর্ঘায়িত করতে পারে। তাই উৎসবে মেতে উঠলেও ৭-৮ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমোন।
নিয়মিত শরীরচর্চা - উৎসবের মরসুমে ঘর পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে পুজোর মিষ্টি অর্ডার দেওয়া-সহ বিভিন্ন কাজ থাকে। কিন্তু এত কিছুর পরেও ফিট থাকার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা খুবই জরুরি। ব্যায়াম শুধুমাত্র ওজন কমাতেই সাহায্য করে না সামগরিক স্বাস্থ্যের উন্নতিও ঘটায়।
বেশি খাওয়াদাওয়া নয় - যাঁরা বেশি পরিমাণে খাওয়াদাওয়া করেন, তাঁদের ওজন খুব দ্রুত বাড়তে থাকে। আর উৎসবের আবহে খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। তবে যদি আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাহলে কোনওভাবেই লোভে পড়ে বেশি খাওয়াদাওয়া করবেন না।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট - সুস্বাস্থ্য এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর ডায়েট খুবই প্রয়োজনীয়। যদিও উৎসবের মরশুমে অনেকসময় তা মেনে চলা সম্ভব হয় না। তবে স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অবশ্যই জাঙ্ক ফুড এবং বেশি তেলযুক্ত খাবার এবং চিনি এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
মিষ্টি কম খান - উৎসব মানেই প্রচুর মিষ্টি। কিন্তু অতিরিক্ত চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। ওজন বাড়াতে চিনি বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই ওজন কমাতে খাবেন না।
আরও পড়ুন - বয়স বাড়লেও চোখে লাগবে না চশমা, পাতে রাখুন এই ৪ খাবার