সকলেই চাইছেন ওজন কমাতে। আর সেজন্য কত কী-ই না করছেন তাঁরা। ওজন কমানোর অন্যতম পন্থা হল কম ক্যালোরি খাওয়া। আর তাতেই ফেল করছেন অনেকে!বিয়েবাড়ি বা কোনও অনুষ্ঠানে গেলে অতিরিক্ত খাওয়া চলে। তা বলে রোজ বেশি খিদে খেলে তো আর ওজন কমবে না! ডায়েটিং করে খাবার খাচ্ছেন অথচ পেট ভরছে না! বারবার খেতে ইচ্ছে করছে। সেক্ষেত্রে ওজন কিন্তু কমবে না। এর ফলে দ্রুত মোটা হয়ে যেতে পারেন। এজন্য ঘন ঘন খিদে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। যেটা অনেকেই পারেন না। খিদে নিয়ন্ত্রণে দরকার ৫ সুপারফুড।
অনেকেই জানতে চান ডায়েটে কোন কোন খাবার রাখলে ঘন ঘন খিদে পাবে না। পেট ভরা থাকলে অনেকক্ষণ খেতে হবে না। তাহলে ক্যালোরিও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যাবে। এজন্য পুষ্টিবিদরা বলছেন, ৫ খাবার খিদে নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকর হতে পারে। রইল সেগুলির হদিশ-
ওজন কমানোর জন্য ৫ সুপারফুড
আমন্ড- আমন্ড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি সুপারফুড। এতে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট,প্রোটিন এবং ফাইবার রয়েছে। আমন্ড খেলে খিদে কম পায়। উপরন্তু ভিটামিন ই স্থূলতা কমায়।
নারকেল- জলখাবার হিসেবে নারকেল হতে পারে দারুণ বিকল্প। নারকেলে লৌরিক অ্যাসিড, ক্যাপ্রোইক অ্যাসিড, ক্যাপ্রিলিক অ্যাসিড ইত্যাদি পাওয়া যায়। যে কারণে পেট ভরা থাকে। নারকেল খুব দ্রুত ফ্যাট পুড়িয়ে দেয়।
অঙ্কুরিত ছোলা- অঙ্কুরিত ছোলায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। এতে খিদে দমন করার হরমোন রয়েছে। এছাড়া ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট নগণ্য। তাই ছোলা খেলে পেট ভরা থাকে। বাড়ে না ওজনও।
দইয়ের ঘোল- দইয়ের ঘোল একটি প্রোবায়োটিক পানীয়। শরীরকে হাইড্রেট রাখে। খাওয়াার পর অনেকক্ষণ খিদে পায় না। ঠান্ডা রাখে পেট।
সবজির রস - সবজির রস মূল থেকে স্থূলতা কমায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে। সবজির রসে তিসির বীজ মেশানো হলে তা আরও উপকারী। শীতকালে বিট, গাজরের রস খেতে পারেন।
আরও পড়ুন- সুগার-কোলেস্টেরল-BP না থেকেও কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক! বাঁচবেন কীভাবে?