Advertisement

Ideal Age Gap Between 2 Children: ২ সন্তানের মধ্যে আদর্শ বয়সের ব্যবধান কত? বাবা, মায়েদের জানা জরুরি

Best Tips For Parents: বাবা-মায়েদের উচিত তাদের সন্তানদের সঠিক বয়সে সঠিক জিনিস শেখানো। তবে বহুক্ষেত্রে দম্পতিরা প্রথম সন্তানের পর দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন।

প্রতীকী ছবি  প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 19 Dec 2025,
  • अपडेटेड 4:38 PM IST

শিশুরা অনেকটা ভেজা মাটির মতো। যেমন কুমোর মাটির তালকে আকার দেয়, সেরকমই বাবা-মাও শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে। বাবা-মায়েদের উচিত তাদের সন্তানদের সঠিক বয়সে সঠিক জিনিস শেখানো। তবে বহুক্ষেত্রে দম্পতিরা প্রথম সন্তানের পর দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন।

ক্রমবর্ধমান খরচ, মায়ের স্বাস্থ্য, মানসিক চাপ, কর্মজীবন বা ব্যক্তিগত পছন্দের কারণে আজকাল অনেকেই একটি সন্তানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেন। তবে, যখন পারিবারিক চাপ বা সন্তানের পক্ষ থেকে ভাইবোনের আবদার বাড়ে, তখন দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হতে পারে। তখন সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি হল, মা এবং সন্তান উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য দুই সন্তানের মধ্যে কতটা ব্যবধান রাখা সবচেয়ে ভাল? দু'বছর কি যথেষ্ট, নাকি পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ভাল? দ্বিতীয় সন্তানের জন্য আদর্শ ব্যবধান কত হওয়া উচিত? 

দুই সন্তানের মধ্যে সঠিক ব্যবধান কত?

দ্বিতীয় সন্তানের পরিকল্পনা কখন করা হবে তা সম্পূর্ণভাবে বাবা-মায়ের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে, এই সিদ্ধান্তে মায়ের স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথম গর্ভাবস্থার পর মায়ের শরীরকে পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগে। তাই, প্রথম গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের ধকল থেকে শরীর সেরে ওঠার পরেই দ্বিতীয় সন্তানের পরিকল্পনা করা উচিত। সন্তানদের মধ্যে খুব কম বা খুব বেশি ব্যবধান রাখার নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে, যা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।

১২ থেকে ১৮ মাসের ব্যবধান

যদি দুই সন্তানের মধ্যে ১২ থেকে ১৮ মাসের ব্যবধান থাকে, তবে তাদের মধ্যে বন্ধন খুব ভাল হয়। প্রথম সন্তান এতটাই ছোট থাকে যে সে ঈর্ষা বা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে না এবং উভয় সন্তান একে অপরের ভাল খেলার সঙ্গী হয়ে ওঠে। তবে, এত কম ব্যবধান মায়ের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ঘুমের অভাব, দুটি সন্তানের যত্ন নেওয়া, ব্রেস্ট মিল্ক খাওয়ানো এবং তাদের একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো দায়িত্ব সামলানো সহজ নয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যদি ব্যবধান ১৮ মাসের কম হয়, তবে অকাল প্রসব, শিশুর কম ওজন এবং গর্ভে শিশুর ধীর বৃদ্ধির মতো সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

Advertisement

২ বছরের ব্যবধান

অনেক চিকিৎসক বিশ্বাস করেন, যে মা ও শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য দুই বছরের ব্যবধানই সবচেয়ে ভাল। এই সময়ের মধ্যে মায়ের শরীর অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠে এবং প্রথম সন্তান ইশারা বা কথার মাধ্যমে যোগাযোগ করার মতো যথেষ্ট পরিণত হয়। এতে দ্বিতীয় সন্তানের যত্ন নেওয়া সহজ হয় এবং বাড়িতে আরও ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়।

৩ বছর বা তার বেশি ব্যবধান

যদি সন্তানদের মধ্যে তিন বছর বা তার বেশি ব্যবধান হয়, তাহলে প্রথম সন্তান আরও স্বাধীন হয় এবং নিজেকে বেশি সুরক্ষিত মনে করে। এই সময়ে মায়ের শরীরও প্রথম গর্ভাবস্থা এবং ব্রেস্ট মিল্ক খাওয়ানোর ধকল থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠে। বাবা-মা উভয় সন্তানকে আলাদাভাবে মনোযোগ দিতে পারেন, কারণ দুজনেরই চাহিদা ও আগ্রহ ভিন্ন ভিন্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, দীর্ঘ ব্যবধানের পর আবার গর্ভধারণ করা শরীরের জন্য কিছুটা কঠিন হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থা এবং প্রসব সংক্রান্ত ঝুঁকি বাড়তে পারে। যদি ব্যবধান পাঁচ বছর পর্যন্ত গড়ায়, তবে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং কিডনি সমস্যার ঝুঁকিও বাড়তে পারে।

চিকিৎসকের পরামর্শ 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুসারে, প্রথম এবং দ্বিতীয় সন্তানের মধ্যে ন্যূনতম ২৪ মাসের ব্যবধান থাকা উচিত। এই সময়ের মধ্যে মায়ের শরীর প্রথম গর্ভাবস্থায় হারানো পুষ্টি পূরণ করে এবং পরবর্তী গর্ভাবস্থার জন্য আরও ভাল ভাবে প্রস্তুত হয়। যদি ২৪ মাসের ব্যবধান সম্ভব না হয়, তবে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য অন্তত ১৮ মাসের ব্যবধান বজায় রাখা উচিত।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement