তুষারে ঢেকেছে দার্জিলিংয়ের শিখর। সান্দাকফুতে বরফ পড়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার রাত থেকে। দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা নেমেছে ৬ ডিগ্রিতে। কিন্তু ১ ডিগ্রির মতো অনুভব হচ্ছে।
গত রাত থেকে দার্জিলিং পাহাড়ে ঘনঘন বজ্রপাত ও সঙ্গে বৃষ্টি অকাল বর্ষার আবহ।
আচমকা এমন আবহাওয়ার রোজকার কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটেছে। কিন্তু জল সংকট থেকে মুক্তি মিলবে মনে করে জনসাধারণ খুশি।
মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১২:৩০ থেকে পাহাড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে এবং সকাল ৩ টা থেকে পাহাড়ে ভারী বজ্রপাত হয়েছে এবং এটি বছরের প্রথম বজ্রঝড়।
শীত বা বর্ষার মতো কুয়াশা নেই বটে, তবে হিমেল বাতাসের ফলে তাপমাত্রা আচমকা কমে গিয়েছে অনেকটাই।
সাধারণ মানুষ আজকের বৃষ্টিতে খুশি এবং দার্জিলিং পাহাড়ে আরও বৃষ্টিপাতের জন্য প্রার্থনা করছেন তাঁরা, কারণ হল জলের সঙ্কট মিটবে।
শীতের পর থেকেই পাহাড়ে জলসঙ্কট দেখা দেয় প্রতি বছর, গত দুই সপ্তাহ থেকে পৌরসভার তরফ থেকে জল সরবরাহ করা হয়েছে কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।
এদিকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে সমতলে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি-কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার সহ অন্যান্য এলাকাতেও। ফলে সব জায়গায় তাপমাত্রা ৪-৫ ডিগ্রি করে কমেছে।
তোরঙ্গে-আলমারিতে উঠে যাওয়া শীতপোশাক মাঝ রাতেই হাতড়ে বের করেছেন সমতলের বাসিন্দারাও।
দিনভর চলা ফ্যান বন্ধ হয়েছে রাত ১ টার পর থেকে। হিমেল বাতাসে ফের স্বস্তি ফিরেছে উত্তরবঙ্গের পাহাড়-সমতলে।