Advertisement

Mamata Banerjee: মহাজোট-ফর্মুলায় লোকসভায় রাজ্যে BJP বনাম TMC? যে ইঙ্গিত মমতার

কোচবিহারের চান্দামারি প্রাণনাথ হাই স্কুলের জনসভায় নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করলেন, পঞ্চায়েতে সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি রাজ্যে একজোট হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Aajtak Bangla
  • কোচবিহার,
  • 26 Jun 2023,
  • अपडेटेड 1:36 PM IST
  • বিরোধী জোট নিয়ে ইঙ্গিত দিলেন মমতা।
  • বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল লড়াই করবে বলে কার্যত স্পষ্ট করলেন নেত্রী।

প্রথম থেকেই মমতা বলে এসেছেন, বিজেপিকে হারাতে হলে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দিতে হবে। যে যেখানে শক্তিশালী তারা সেখানে প্রার্থী দেবে। কোচবিহারে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে আরও একবার সে কথাই বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। ইঙ্গিত দিলেন, মহাজোটে এ রাজ্যে লড়াই করবে তৃণমূল, কংগ্রেস বা সিপিএম নয়। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা,পটনার বৈঠকে কি সেনিয়েই কথা হয়েছে?        

সোমবার ঠিক কী বললেন মমতা? কোচবিহারের চান্দামারি প্রাণনাথ হাই স্কুলের জনসভায় নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করলেন, পঞ্চায়েতে সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি রাজ্যে একজোট হয়েছে। এ দিন তিনি বলেন,'তিনটে দল একজোট হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দিল্লিতে বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোট করার জন্য। আর ওরা কালও আমায় গালাগালি দিয়েছে। মহাঘোঁট করবে।' একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলায় রাজ্যে যে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলই লড়াই করবে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়,'মহাঘোঁট আমি ভেঙে দেব। মহাজোট হবে দিল্লিতে। আর বাংলারটা আমরা করব। এটা মাথায় রাখবেন।'

শুক্রবার পটনায় বিজেপি বিরোধী জোটের আলোচনায় অংশ নিয়েছিল ১৫টি বিরোধী দল। সকলেই লোকসভা ভোটে একজোট হয়ে লড়ার কথা ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে ওই বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুল গান্ধী, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শুরু থেকেই বলে আসছেন, যার যেখানে শক্তি সে সেখানে লড়াই করুক। সেই ফর্মুলায় রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে কেবল তৃণমূল। সিপিএম ও কংগ্রেস তাতে সমর্থন দেবে। সেই হিসেবে ৪২টি আসনেই বিরোধী জোটের তরফে প্রার্থী দেবে তৃণমূল। 

যদিও তৃণমূলের সঙ্গে বাংলায় কংগ্রেস ও সিপিএম যেতে রাজি নয়। জাতীয় স্তরে বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাংলায় যে তৃণমূলের সঙ্গে জোট হবে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছে দুই বিরোধী শিবিরের নেতৃত্বই। গতকালও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছিলেন,''আমাকে কেউ কোনও বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানায়, সেখানে শত্রুকেও আমন্ত্রণ জানালে কি আমি ওই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাব না!' আবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাজ্যে কোনও জোট হবে না। তবে রাজনীতি মানেই বহমানতা। লোকসভা ভোটের ঢের দেরি। ফলে এখন থেকে সমীকরণ বোঝা বেশ মুশকিল! রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করেছেন, এ রাজ্যে কি ওরা (কংগ্রেস, সিপিএম ও তৃণমূল) বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলছে? হতভাগ্য কংগ্রেস আর সিপিএমের কর্মীরা নীচেরতলায় রক্ত, ঘাম ঝরাচ্ছে আর তাঁদের উপরতলার নেতারা পটনায় সেটিং করছেন।'

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement