West Bengal Panchayet Election Isf-Tmc Clash: ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী। ISF দাবি করেছে যে তার সমর্থককে BDO অফিসের বাইরে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে। যখন সে ISF প্রার্থীর সঙ্গে মনোনয়ন দাখিল করতে যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় ২ এলাকায় তৃণমূল এবং আইএসএফের (Tmc And Isf)-এর মধ্যে নতুন সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ যায় এক ISF কর্মীর। মনোনয়নের শেষদিনেও উত্তপ্ত ভাঙড়। এলাকায় মুহূর্মূহু বোমা বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি সামলাতে শেষমেষ পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। যদিও তারপরও পুরোপুরি এলাকা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করা যায় না। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও তুলেছে আইএসএফ-সিপিএম।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ে বদলের ডাক, ২২ কিমি দৌড়ে মনোয়ন জমা নির্দল প্রার্থীর
আরও পড়ুনঃ ইলিশ খেলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে কঠিন রোগ, কতটুকু খাবেন?
ভাঙড় ২ এলাকায় টিএমসি এবং আইএসএফ-এর মধ্যে সংঘর্ষে টিএমসি সমর্থকরাও আহত হয়েছেন বলে দাবি। আহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। টিএমসি দাবি করেছে যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে বিডিও অফিসের দিকে হাঁটার সময় আইএসএফ সমর্থকরা তাদের বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করেছিল। উল্লেখ্য: বেঙ্গল পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বিকেল ৩টায় শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিনও সকাল থেকে উত্তপ্ত ছিল ভাঙড়। শান্তিপূর্ণ মনোনয়নের বদলে সকাল থেকেই গোটা রাজ্যে উত্তর থেকে দক্ষিণ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। মুড়ি-মুড়কির মতো বােমাবাজি শুরু হয় ভাঙড়ে। স্থানীয়দের দাবি, কমপক্ষে ১০০টি বোমা পড়ে। মনোনয়নপর্ব শেষ হয়ে গেলেও বোমাবাজি অব্যাহত ছিল। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়ি। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক।
অশান্তি চলাকালীন এদিন এলোপাথাড়ি গুলিও চলে বলে অভিযোগ। দুপুর ৩টেয় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও চলতে থাকে অশান্তি। চারিদিকে বোমাবাজি, গুলিবৃষ্টি চলতে থাকে। তাতে ISF কর্মী মইনউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তিনি মারা যান বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, তৃণমূল বিধায়ক শওকতের দাবি, তৃণমূল কর্মী রশিদও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। একদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তোলে ISF. যদিও তৃণমূলের দাবি, অশান্তির মূলে ISF-ই।
অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রচার, মনোনয়ন প্রত্যাহার ও নির্বাচনে বিরোধীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় সিপিএম, আইএসএফ। এদিন নবান্নে অভিযোগ জানাতে গেলেও ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এসে মমতাকে নিশানা করেন নৌশাদ। সরাসরি রজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন তিনি। এদিকে বামফ্রন্ট নেতা বিমান বসুও রাজ্যে নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্ক প্রকাশ করেন বিমানবাবু। তিনি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার উপরই জোর দেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস, সিপিএম, আইসএফ কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত।
এদিন সকালে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াতেও গুলি চলে। সিপিএম (CPM) এবং কংগ্রেসের মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাতে একজনের মৃত্যু হয়। পরে সিপিএম জানায়, দু'জন মারা গিয়েছেন আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। এর প্রতিবাদে বিকেলে কমিশনের দফতরে জমায়েত করেছে তারাও। সেখানে পৌঁছেছেন নৌশাদও। নিরাপত্তার আবেদন জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। আরবুল ইসলামের মতো নেতাদের গ্রেফতারির দাবিও তোলেন।