কথা বলে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে - তিন বিধাতা নিয়ে। অর্থাত্ জন্ম ও বিয়ে মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিয়েতে (Marriage) দেরি করলে দাম্পত্য সুখ লাভ এবং সন্তানের জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা আসতে পারে। বিয়েতে কোনও সমস্যা হলে বা বিয়েতে দেরি হলে যথাসময়ে প্রতিকার করা উচিত, অন্যথায় সমস্যা বাড়তে শুরু করে। মানুষের প্রতিটি সমস্যার সমাধান জ্যোতিষশাস্ত্রে (Astrology) রয়েছে। দেরিতে বিয়ে নিয়ে কয়েকটি সমাধান এখানে আপনাদের জানানো হচ্ছে।
প্রতিকার হিসেবে হলুদ কাপড় (Yellow Dress) পরা উচিত। প্রতিদিন দুর্গা সপ্তশতী থেকে অর্গলস্তোত্রম পাঠ করলে অবিবাহিতদের শীঘ্রই বিয়ে হয়। বাস্তু যন্ত্রের পুজো করুন। বর যদি বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যায় তবে উচিত গুড় খেয়ে যাওয়া। ভগবান গণেশের পুজো করা উচিত, তাঁকে লাড্ডু নিবেদন করা উচিত। এতে করে অবিবাহিত পুরুষদের বিয়েতে আসা বাধা দূর হয়, মেয়েরা গণপতি মহারাজকে মালপুয়া নিবেদন করেন।
প্রতি বৃহস্পতিবার জলে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে স্নান করুন। এ কারণে শীঘ্রই বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সর্বদা বয়সে বড় লোকদের সম্মান করুন। এতে করে তাঁর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার একটি কলা গাছের সামনে খাঁটি ঘিয়ের একটি প্রদীপ জ্বালান এবং গুরুর (বৃহস্পতি) ১০৮টি নাম জপ করুন। এতে করে বিয়ে তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। জলে বড় এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর সেই জল বড় পাত্রে ঢেলে স্নান করুন। এই প্রতিকারে শুক্রের দোষ দূর করা যায়। গৌরীশঙ্কর রুদ্রাক্ষ পরুন।
বৃহস্পতিবার একটি গরুকে সামান্য হলুদ, সামান্য গুড়, ছোলা ডাল খাওয়ান। এ কারণে শীঘ্রই বিবাহের যোগফল তৈরি হয়।
বিবাহযোগ্য মেয়েরা বৃহস্পতিবার বালিশের নীচে হলুদ কাপড়ে মুড়িয়ে এক পিণ্ড হলুদ রাখতে হবে। এতে করে হাত তাড়াতাড়ি হলুদ হয়ে যাওয়ার জন্য শুভ যোগ তৈরি হয়। বিবাহযোগ্য ছেলেরা তিনমাস ধরে প্রতিদিন সাদা কাগজে বিভিন্ন রঙের নারীর ছবি আঁকতে হবে। মেয়েদের সাদা কাগজে লাল রঙ দিয়ে পুরুষদের ছবি আঁকতে হবে।