গ্রহের দশা, অন্তর্দশা ও মহাদশা প্রতিটি মানুষের জন্মকুণ্ডলীতে চলে। এইগুলি কুণ্ডলীতে গ্রহের অবস্থানের উপর নির্ভর করে। মানুষ শুভ ও অশুভ ফল লাভ করেন। সকলেই রাহুর প্রকোপ এড়াতে চান। রাহুকে পাপ ও ছায়া গ্রহ বলে মনে করা হয়। এর মহাদশা ১৮ বছর স্থায়ী হয়। এই পরিস্থিতিতে যাঁর রাশিতে রাহু অশুভ অবস্থানে থাকে, তিনি প্রচুর কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যান। আবার রাহু যখন কারও জন্মকুণ্ডলীতে মজবুত অবস্থায় থাকে, তখন সেটির মহাদশার সময় তিনি প্রচুর লাভবান হন।
তীক্ষ্ণ মস্তিস্ক
রাহু যদি রাশিতে শক্তিশালী অবস্থানে থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি অত্যন্ত বুদ্ধিমান হন। তিনি নিজের বুদ্ধিমত্তা দ্বারা প্রচুর লাভ ও খ্যাতি অর্জন করেন। রাহু তাঁর ভাগ্য উজ্জ্বল করে। অন্যদিকে, অশুভ রাহু কোনও মানুষকে প্রতারক এবং মিথ্যাবাদী করে তোলে। আর সেই সমস্ত মানুষকে সবাই এড়িয়ে চলেন।
প্রভাব (Rahu Mahadasha Effects)
যে সকল মানুষের জন্মকুণ্ডলীতে রাহু শুভ অবস্থানে থাকে, সেই ব্যক্তিরা সুন্দর ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন। মানুষ তাঁদের খুবই পছন্দ করেন এবং শীঘ্রই তাঁদের প্রতি আকৃষ্ট হন। এই ধরনের ব্যক্তি সমাজে প্রভাবশালী স্থান পান। বিশেষ করে রাহুর মহাদশায় তিনি প্রচুর সম্মান, উচ্চ পদ ও অর্থ লাভ করেন। রাহুর মহাদশা বিশেষ করে রাজনীতিতে সক্রিয় ব্যক্তিদের জন্য অনেক সুবিধা দেয়। এটি তাঁদের প্রতিপত্তি এবং খ্যাতি দেয়। অন্যদিকে, রাহু যদি কুণ্ডলীতে অশুভ হয় তবে মহাদশার সময় ব্যক্তি অশুভ ফল লাভ করেন। তিনি প্রতারণা করে অর্থ রোজগার শুরু করেন। মাদক ও আমিষে আসক্ত হয়ে পড়েন। ঈশ্বরে বিশ্বাস উঠে যায়। নানা ধরনের রোগ তাঁকে ঘিরে ধরে। অশুভ রাহুও মানুষকে পাগলও করতে পারে। মানসিক অস্থিরতা, হেঁচকি, অন্ত্রের সমস্যা, আলসার, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ইত্যাদি শুরু হয়।
উপায় (Rahu Mahadasha Remedies)
রাহু যদি কুণ্ডলীতে অশুভ অবস্থানে থাকে, তাহলে রাহুর মহাদশার সময় ভগবান শিব এবং ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা উচিত। এতে কষ্ট কমে। প্রতি বুধবার কালো কুকুরকে মিষ্টি রুটি খাওয়ালে রাহুর দোষ কেটে যায়। সেই সঙ্গে প্রতিদিন স্নানের জলে কালো তিল মিশিয়ে কয়েকদিন স্নান করলেও উপশম পাওয়া যায়। এছাড়াও প্রতিদিন ওম রা রহভে নমঃ মন্ত্র জপ করলেও উপকার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন - অর্থ ও কেরিয়ারে দারুণ উন্নতি আনে রুদ্রাক্ষ, কখন-কীভাবে পরবেন?