
Shani Palm Reading: কেউ টুকটাক হাত দেখতে জানলেই আমরা তাঁদের সামনে হাত পেতে দিই। কিন্তু হাত দেখার কিছু বেসিক বিষয় আছে। সেগুলি একটু চেষ্টা করলে নিজেই শিখে নেওয়া যায়। হাত দেখার এই শিল্পকে হস্তরেখাশাস্ত্র বলা হয়। লোকবিশ্বাস, হাতের তালুর রেখা পড়ে একজন ব্যক্তির ভাগ্য এবং আচরণ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা যেতে পারে। এমনকি হাতের তালুর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রেখাগুলিকেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়। আমরা সাধারণত শনিদেব বলতে রাশির ছকেই অবস্থান বুঝি। কিন্তু, আপনি কি জানেন, হাতের তালুতেও একটি শনির রেখা থাকে? এই শনির রেখা যত দীর্ঘ এবং স্পষ্ট হয়, সেই ব্যক্তি ততই ভাগ্যবান বলে মনে করা হয়। আসুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
হস্তরেখাবিদ্যা অনুসারে, হাতের তালুতে, মধ্যমা আঙুলের ঠিক নিচে 'শনির পর্বত' থাকে। লোকমতে, এই পর্বত যত বেশি স্পষ্ট, ততই মঙ্গল। এই পর্বতের ঠিক নিচ থেকে যে রেখাটি প্রসারিত হয়, তাকে শনি রেখা বলা হয়। এই রেখা যত দীর্ঘ এবং স্পষ্ট হয়, সেই ব্যক্তিকে তত বেশি ভাগ্যবান মনে করা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে এই রেখাটি হাতের তালু ছাড়িয়ে কবজি পর্যন্তও প্রসারিত হয়।
৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সে এসে সাফল্য শুরু
হস্তরেখাবিদ্যা অনুসারে, যাদের হাতের তালুতে এই গভীর এবং স্পষ্ট শনির রেখা থাকে, তাদের ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সে সাফল্য শুরু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ধরনের ব্যক্তিরা বাকি জীবন ভাগ্যের আশীর্বাদ লাভ করেন। উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। চাকরি হোক বা ব্যবসা, তাদের সাফল্য নিশ্চিত। তবে হ্যাঁ, পরিশ্রম ছাড়াই যে সাফল্য আসবে, তা নয়। তবে অযাচিত বাধা, বিপত্তি, আলস্যের মতো সমস্যাগুলি সাধারণত হয় না।
হস্তরেখা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের হাতে এই স্পষ্ট শনির রেখা থাকে তারা শনিদেবের বিশেষ আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন। যদিও জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে তারা অনেক সংগ্রামের মুখোমুখি হন। তবুও তারা শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত কিছু অর্জন করেন।
তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, দেরিতে সাফল্য যোগ থাকায় এঁদের অনেকেরই প্রতিষ্ঠিত হতে হতে অনেক সময় লেগে যায়। সেই সময়ে তাঁরা অত্যন্ত পরিশ্রমও করতে থাকেন। সেই কারণে এঁদের জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতেও অনেকটা সময় লাগে। তবে সাফল্য লাভের পর ধৈর্য্য ধরলেই সত্যিকারের সোলমেট পান এঁরা।