বাস্তুশাস্ত্রে আর্থিক কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার একাধিক উপায় বলা হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কিছু আর্থিক উপায় খুবই সহজ এবং সাধারণ জিনিস দিয়ে করার কথা বাস্তুশাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে আর্থিক সমৃদ্ধি লাভ করতে জবা ফুলের টোটকা যেমন সহজ ও তেমনই লাভজনক। জবা ফুল পুজোতেও আমরা ব্যবহার করে থাকি। এছাড়া এই ফুলের ঔষধি গুণও অপরিসীম।
জবা ফুল ব্যবহৃত হয় হিন্দুদের পুজোয়
হিন্দু ধর্ম অনুসারে লাল জবা ফুল মা কালীর অতি প্রিয়। লাল জবা ফুল ছাড়া মা কালীর পুজো অসম্পূর্ণ। আবার জবা ফুল যেমন মা কালীর প্রিয়, তেমন এই ফুল মা লক্ষ্মীরও অত্যন্ত প্রিয়। আবার হনুমানজির পুজোতেও ব্যবহার করা হয় এই লাল জবা। বাস্তুমতে, লাল জবা ফুলের গাছ বাড়িতে থাকা অত্যন্ত উপকারী। বাড়িতে জবা ফুলের গাছ থাকলে আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে। বাড়িতে জবা ফুল গাছ থাকলে প্রসন্ন হন মা লক্ষ্মী। সেই বাড়িতে কখনও কোনও আর্থিক সঙ্কট তিনি আসতে দেন না।
জবা ফুলের বিশেষ মাহাত্ম্য
শুধু ধর্মীয় দিক নয়, জ্যোতিষশাস্ত্রের দিক থেকেও জবা ফুলের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। কারণ বৈদিক জ্যোতিষ অনুসারে বাড়িতে জবা ফুল গাছ থাকলে কোষ্ঠীতে সূর্য শক্তিশালী হয় এবং আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
জবা ফুলের গাঁছ পুঁতুন
যদি আপনার কোষ্ঠীতে সূর্য নীচস্থ অবস্থানে থাকে, তাহলে বাড়িতে অতি অবশ্যই জবা ফুলের গাছ পুঁতুন। বাড়ির পূর্ব দিকে জবা ফুলের গাছ থাকলে তা সূর্যের অবস্থানকে ভালো করে। আবার কোষ্ঠীতে মঙ্গল দোষ থাকলে জবা ফুলের প্রভাবে তাও দূর হতে পারে। জন্মছকে মঙ্গল দুর্বল হলে এবং তার কারণে বিয়েতে দেরি বা বিবাহিত সম্পর্কে সমস্যা দেখা দিলে জবা ফুলের গাছ বাড়িতে অবশ্যই পুঁতুন। এর প্রভাবে অশুভ মঙ্গলকে শান্ত করা যেতে পারে।
কেরিয়ারের বাধা দূর করে
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, যে বাড়িতে জবা গাছ থাকে, সেই বাড়িতে কখনও নেগেটিভ এনার্জির প্রবেশ ঘটে না। চাকরিতে বা ব্যবসায় কোনও সমস্যা দেখা দিলে প্রতিদিন সূর্যদেবকে জবা ফুল নিবেদন করুন। ভোরবেলা একটি তামার পাত্রে জল নিয়ে তার মধ্যে একটি জবা ফুল রেখে দিন। এবার ওই জল সূর্যকে অর্ঘ্য দিন। এর ফলে কেরিয়ারের পথে আসা সমস্ত বাধা দূর হয়ে যাবে।
পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ায় লাল জবা
সন্তানের পড়াশোনার ক্ষেত্রেও লাল জবা ফুল অতি উপকারী। পড়ুয়াদের নিজের স্টাডি টেবিলে নিয়মিত একটি লাল জবা ফুল রাখা উচিত। এর ফলে তাদের পড়াশোনায় মন বসবে ও তারা ভালো ফলাফল লাভ করবে।