Birbhum Murarai Matir Sristi: হাসপাতালের পতিত জমিতে ফলছে সোনা! আর তার লাভ পাচ্ছেন রোগীরা। সোনা বলতে বিভিন্ন রকমের সবজি, ফল আর মাছ। বীরভূম জেলার মুরারইয়ে।
মুরারই ২ নম্বর ব্লকের পাইকর হাসপাতালে এলে বোঝা যাবে না সেটা চিকিৎসার জায়গায়। সেখানে মানুষকে সুস্থ করে তোলার পাশাপাশি আরও এক কর্মকান্ড চলছে।
ওই হাসপতাালে অনেকটা জায়গা ফাঁকা ছিল। তা কাজে লাগিয়ে চাষবাস করা হচ্ছে। আর সেই খাবার পৌঁছে যাচ্ছে রোগীদের কাছে।
হাসপাতালে যেন উদাহরণ হয়ে উঠেছে আর পাঁচজনের কাছে। সবাই মিলে কাজ করলে কী অসাধ্য সাধন হতে পারে, তা যেন বলে যাচ্ছে প্রান্তিক এই জনপদের হাসপাতাল।
এ ব্যাপারে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাটির সৃষ্টি প্রকল্প চালু করেছেন। বেশ অভিনব সেই প্রকল্প। যেখানে যেখানে পতিত জমি পড়ে রয়েছে, তা কাজে লাগানো। যেগুলো মূলত জলের অভাবে অনুর্বর বা উঁচ জমিও হতে পারে। সেখানে জল দিয়ে একফসলি ধান, না হলে ফলের বাগানের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি গাছের ফাঁকা জায়গায় কোনও গাছ লাগানো যায় কিনা, তাও বলা হয়েছিল।
তিনি জানান, হাসপাতাল বা অন্যান্য সরকারি জায়গায় যে জায়গা পড়ে রয়েছে, সেখানে নোংরা আগাছা সরিয়ে ফলের বাগান হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সেটার নাম দেওয়া হয়েছে পুষ্টি বাগান বা নিউট্রিশান গার্ডেন। সেখানে উৎপাদিত ফল, সবজি, রোগীদের খাবার হিসেবে তুলে দেওয়া যেতেই পারে। মাছ চাষও হচ্ছে। আরও যেখানে এমন জায়গা আছে, সেখানে চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তেতোর অনেক গুণ, হিসেব মতো না খেলেই ভয়ঙ্কর বিপদ
আরও পড়ুন: প্লেনে এয়ারহোস্টেসের সে কী নাচ! ভিডিও VIRAL, তুমুল প্রশংসা
আরও পড়ুন: পিঙ্ক ড্রেসে Malaika Arora-র জাদু দেখে ফিদা ফ্য়ানেরা, ছড়িয়ে দিলেন মায়া
ওই হাসপাতালের অনেক জমি পড়ে ছিল। বীরভূমের মুরারই ২ নম্বর ব্লকের বিডিও নাজির হোসেন ঠিক করেন, সেখানে কাজ করা যেতে পারে। পুষ্টি-বাগান তৈরি করা যেতেই পারে। সেখানকার রোগীদের জন্য খাবার দেওয়া যাবে।
তিনি জানান, বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে বিভিন্ন রকমের গাছ। এর পাশাপাশি সেখানে ভেষজ গাছগাছড়াও লাগানো হয়েছে। চলছে মাছচাষ। ফলে আরও উপকার পাচ্ছেন রোগীরা।
তাঁরা শীতকালে সবজি বাধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, শাক চাষ করেছিলেন।
এর পাশাপাশি মাছচাষের জন্য চ্যানেল করা হয়েছে। দু'রকমের ইরিগেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এক ওয়াটার চ্যানেলের মধ্যে। আর অন্যটা স্প্রিঙ্কলার। চ্যানেল করা হয়েছে বেশ বড় বড়। সারা বছর সেখানে মাছ চাষ হবে। মাছ রোগীদের দেওয়া হচ্ছে।
সেখানে রোগী ভর্তি থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। ফলের বাগানের মাঝের ফাঁকা জায়গা সবজির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
ডালিম, মাল্টা হয়েছে। সেইসঙ্গে আম, পেঁপেও হয়েছে। লাগানো হয়েছে কুলগাছ, ভিয়েতনাম নারকেল। এই নারকেল তাড়াতাড়ি ফল দেবে।
জেলা প্রশাসনের বেশ প্রশংসা পেয়েছে। বাগান অনেক সময় লাগানো হয়। তবে পরিচর্যা করা হয় না। তবে এখানে তেমনটা হয়নি। গাছ বেড়ে উঠছে তরতরিয়ে।
সেখানে সব মিলিয়ে ১৭ রকমের গাছ আছে। এর পাশাপাশি তুলসি, কালমেধ, অ্য়ালোভেরা ওষধি গুণযুক্ত গাছও লাগানো হয়েছে। ৫ বিঘার কাছাকাছি জমিতে চলছে এই কাজ।