রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের আওতাভুক্ত হলেও সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হুগলির ঐতিহাসিক ইমামবাড়ার (Hooghly Imambara) আজ বেহাল দশা। জেলাশাসকের বাংলো লাগোয়া ইমামবাড়া ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ছে।
দোতলার কিছু অংশ বিপজ্জনক হওয়ায় বসবাস বন্ধ রয়েছে বহুদিন। দোতালার একটি অংশের ছাদও উধাও হয়ে গিয়েছে। এবার সেই বিপজ্জনক অংশ থেকে যখন তখন ইট খসে পড়ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
যদিও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ কিন্তু অব্যাহত রয়েছে ইমামবাড়ায়। তবে সেই কাজ গতিহীন। ফলে একদিক গড়ছে তো অন্যদিক ভাঙছে। বছর দুয়েক আগে ইমামবাড়ার চূড়ার অংশে সাদা রং চেপেছে। কিন্তু রোদ-জলে সেই রং বর্তমানে কালো হতে বসেছে। এছাড়া ভবনের নিচের অংশেও রঙের প্রলেপ পড়েনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিকল্পনাহীন ভাবে কাজ হওয়ায় দানবীর হাজি মহম্মদ মহসিনের (Muhammad Mohsin) উদ্যোগে তৈরী ঐতিহাসিক ইমামবাড়া ক্রমশ ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছে।
স্থানীয়দের কেউ কেউ তাই ইমামবাড়া রক্ষার্থে অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
এই বিষয়ে হুগলি-চুঁচুড়া পৌরসভার উপ-পুরপ্রশাসক অমিত রায় বলেন, 'ইমামবাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত অংশের কথা শুনেছি। অবিলম্বে হেরিটেজ দফতরকে বিষয়টা জানাচ্ছি।'