‘বন্দে মাতরম্
সুজলাং সুফলাং
মলয়জশীতলাং
শস্যশ্যামলাং
মাতরম্৷৷'
এই গানের সঙ্গে ভারতবাসীর নাড়ির যোগ। এটি দেশের জাতীয় গীত। আজ সেই গানের ১৫০ বছর। আর সেই দিনটা উদযাপন হচ্ছে গোটা দেশে।
সকাল সকালই এই গানটি গেয়ে শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এই গানের গুরুত্ব সম্পর্কেও বিশদে আলোচনা করেছেন।
আর এই গানটার সঙ্গেও রয়েছে বাংলা যোগ। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘বন্দে মাতরম’ গানটির স্রষ্টা। তিনি তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস 'আনন্দমঠ'-এ গানটি ব্যবহার করেছিলেন।
৭ নভেম্বর ১৮৭৫ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই গানটি রচনা করেছিলেন বলে জানা যায়। অবশ্য সেই গানের ব্যবহার হয়েছিল ১৮৮২ সালে প্রকাশিত আনন্দমঠ উপন্যাসে।
এই গানটির সুর দেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনিই ১৮৯৬ সালে কলকাতা কংগ্রেস অধিবেশনে গানটি নিজের গলায় গেয়েছিলেন।
ও দিকে তামিলনাড়ুতে সুব্রহ্মনিয়াম ভারতী এর তামিল অনুবাদ করেন। শুধু তাই নয়, পাঞ্জাবেও এই গান শোনা যায় বিপ্লবীদের কণ্ঠে।
অবশ্য বলা হয়, রবীন্দ্রনাথের ভাগ্নি সরলা দেবীই 'বন্দে মাতরম'-কে রাজনৈতিক স্লোগান হিসাবে ব্যবহার করেন।
এই গানটা ক্রমেই ভারতীয় স্বাধীনতা প্রেমীদের মনের গান হয়ে ওঠে। জাতীয় কংগ্রেসে নিয়মিত গাওয়া হয় এই গান। বিপ্লবীরা এই গান শুনেই অনুপ্রাণিত হতে বলেই মনে করেন ইতিহাসবিদরা।।
শোনা যায়, এই গানের অনুপ্রেরণা তিনি পেয়েছিলেন অথর্ব বেদ থেকে। সেখানেই ধরিত্রীকে মাতা হিসাবে বর্ণনা করা হয়।
বঙ্কিমচন্দ্র বিশ্বাস করতেন 'বন্দে মাতরম' গানটি গোটা দেশের মানুষের মনে দাগ কাটবে। আর সেটাই হয়েছে। এখনও দেশের মানুষ সমাবেতভাবে এই গানটি করছেন। আজ সেই গানের ১৫০ বছর।