Advertisement

বাংলাদেশ

India and Bangladesh: স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি ভারতের ভুল হয়েছিল? উদ্বাস্তু ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সাহায্যও মেলেনি, যা যা জানা জরুরি

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 20 Nov 2025,
  • Updated 12:10 PM IST
  • 1/11

আজ বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতা চরমে পৌঁছেছে। ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জঙ্গিদের জন্য অবাধ বিচরণভূমি বানাচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশকে। পাকিস্তানের জঙ্গিনেতারা বাংলাদেশে যাচ্ছে। উস্কানিমূলক ভাষণ দিচ্ছে। ঘনিষ্ঠতা এতটাই যে, বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ফ্রি করে দিয়েছে পাকিস্তান। এহেন একটি সময়ে বাংলাদেশ তৈরির কিছু ঘটনা ফিরে দেখার অবকাশ থেকেই যাচ্ছে। 
 

  • 2/11

প্রশ্ন উঠছে, ভারত কি তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে যে সাহায্য করেছিল, তা কি ভুল হয়েছিল? পাকিস্তানের অত্যাচার ও উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার নৃশংসতা থেকে বাংলাদেশিদের রক্ষা করে কি ভারত ভুল করেছিল? এই ইতিহাস অনেকেরই খানিকটা জানা আছে। আবার কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা অনেকেই ভুলে গিয়েছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশিরা, যাঁরা আজ ভারতকে গালিগালাজ করছে, শত্রু বলছে ও পাকিস্তানের জয়জয়কার করছে। ফিরে দেখা যাক সেই কিছু ঘটনা ও কেন ভারত স্বাধীন বাংলাদেশের লড়াইয়ে সামিল হয়েছিল।
 

  • 3/11

এই কারণকে একাধিক ভাগে ভাগ করা যায়। মানবিকতা, উদ্বাস্তু সমস্যা ও রাজনৈতিক ফ্যাক্টর। ১৯৭০ সালের প্রথম দিকের ঘটনা। পশ্চিম পাকিস্তান তখন নির্মম গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে পূর্ব পাকিস্তানের উপর। বিশেষ করে বাঙালিদের উপর। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি। লাশের স্তূপ। অনাহারে মরছে পূর্ব পাকিস্তান। পাকিস্তানের যেটা স্বভাব আর কী! জঙ্গিপনা। সেটাই চলছিল। বিশেষ করে হিন্দুদের তখন কাটছে, হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ করছে পশ্চিম পাকিস্তান। লক্ষ লক্ষ রিফিউজি ভারতে আসছেন। সীমান্তে অপেক্ষায়। 
 

  • 4/11

ভারত দেখল, আর নয়। অনেক হয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানে মানুষের এই কষ্ট মেটানোর একটাই উপায়, যুদ্ধ। ওদিকে পশ্চিম পাকিস্তানপন্থীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শুরু করে দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী। শেখ মুজিবুর রহমানের সেই জ্বালাময়ী ভাষণ, 'তোমরা আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না।'
 

  • 5/11

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে ভারতের যোগদান কেন? এটি আসলে মানবিক, কৌশলগত আর রাজনৈতিক নানা কারণের মিলিত ফল। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা পূর্ব পাকিস্তানে যে ভয়াবহ দমন-পীড়ন শুরু করে, তার থেকেই পুরো সঙ্কটের শুরু। এর ফলেই ঘটে গণহত্যা এবং তৈরি হয় এক বিশাল শরণার্থী স্রোত, যার ভার সরাসরি এসে পড়ে ভারতের ওপর।

  • 6/11

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ চালাতে শুরু করল। পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন। প্রায় ১ কোটি মানুষ, যাদের বেশিরভাগই হিন্দু, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে। এত মানুষের একসঙ্গে চলে আসা ভারতের সামনে ভয়ঙ্কর মানবিক ও প্রশাসনিক সঙ্কট তৈরি করে।
 

  • 7/11

ওত উদ্বাস্তুর থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা, সব মিলিয়ে সীমান্তবর্তী রাজ্য যেমন পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও অসমের ওপর ব্যাপক আর্থিক চাপ পড়ছিল। ভারত আন্তর্জাতিক মহলের কাছে বারবার সাহায্য চেয়েছিল, কিন্তু সাড়া মেলেনি। ভারতকে একপ্রকার বার্তা দেওয়া হয়েছিল, এই সমস্যা নিজেরা মিটিয়ে নাও। কেউ কিছু করতে পারবে না।

  • 8/11

সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, হঠাৎ এত মানুষ চলে আসায় ভারতে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে সামাজিক টানাপোড়েন বাড়তে থাকে। হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই উদ্বেগ ও অশান্তি তৈরি হয়, যা সামলাতে ভারত সরকারের বাড়তি প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়।

  • 9/11

পূর্ব আর পশ্চিম পাকিস্তান তখন ভারতের ভূখণ্ড দ্বারা হাজার মাইল দূরে বিচ্ছিন্ন ছিল। ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধলে ভারতকে দুই ফ্রন্টে লড়াইয়ের আশঙ্কা থাকত। পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হলে ভারত অন্তত পূর্ব দিকের চিরস্থায়ী সামরিক হুমকি থেকে মুক্তি পাবে। এটাই ছিল ভারতের বড় কৌশলগত লক্ষ্য। বর্তমানে অবশ্য যা পরিস্থিতি, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ, উভয়েই ভারতের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
 

  • 10/11

ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের আশঙ্কা ছিল, যদি পূর্ব পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে চিনপন্থী বা বাম উগ্রপন্থী শক্তিগুলি সেখানে মাথাচাড়া দেবে। তখন ভারতের নানা জায়গায় নকশাল আন্দোলনও সক্রিয় ছিল। তাই ওই অঞ্চলে অস্থিরতা ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্যই বিপজ্জনক হতে পারত।

  • 11/11

এই সঙ্কট ভারতের সামনে দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার সুযোগ এনে দেয়। সফল সামরিক হস্তক্ষেপ শুধু ভূরাজনীতিক মানচিত্রই বদলায়নি, ইন্দিরা গান্ধীর আন্তর্জাতিক মর্যাদাও শক্তিশালী করে। অনেক বছর ধরেই ভারত–পাকিস্তান বৈরিতা চলে আসছিল। পাকিস্তানের ভাঙন এবং ৯৩,০০০ সৈন্য আত্মসমর্পণ পাকিস্তানের সামরিক ও রাজনৈতিক মর্যাদায় বিশাল ধাক্কা দেয়, যা ভারতের কৌশলগত স্বার্থকেই শক্তিশালী করেছিল। ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ে আমেরিকা পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়ানোয় ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ১৯৭১ সালের অগাস্টে ‘শান্তি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি’ সই করে। এই চুক্তি ভারতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা-ঢাল হিসেবে কাজ করে, বিশেষ করে আমেরিকা বা চিনের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে।

Advertisement

লেটেস্ট ফটো

Advertisement