Advertisement

স্পেশাল

পাঠশালা খোলা! করোনাকালে জামুরিয়ায় পড়ুয়াদের বড় প্রিয় 'রাস্তার মাস্টার'

সুদীপ দে
  • কলকাতা,
  • 17 Jan 2022,
  • Updated 5:45 PM IST
  • 1/12

বিগত দু’বছরের বেশিরভাগ সময়টাতেই করোনা মহামারীর জেরে স্কুল বন্ধ থেকেছে। রাজ্য থেকে দেশ, সর্বত্রই এক ছবি। করোনার দূরত্ববিধি মেনে আবার স্বাভাবিক ভাবে স্কুল চালু করাটাও এখন বেশ কঠিন।

  • 2/12

পড়ুয়া থেকে শিক্ষক, সকলেই এখন ক্রমশ ডিজিটাল শিক্ষা-ব্যবস্থার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে একেবারে ভিন্ন ছবি ধরা পড়েছে জামুড়িয়ার জবা গ্রামে।

  • 3/12

সেখানে রাস্তার দু’ধারে সার বেঁধে বসেছে কচিকাঁচার দল। বাড়ির মাটির দেওয়ালে ফুটে উঠেছে অ-আ-ক-খ! সেখানেই রয়েছে ব্ল্যাক বোর্ড। আর রাস্তার এ মাথা থেকে ও মাথায় পায়চারি করতে করতে পড়াচ্ছেন এক যুবক।

  • 4/12

রাস্তার দু’ধারজুড়ে চলা পাঠশালায় কোথাও আবার কচিকাঁচাদের সঙ্গে পড়াশুনা করতে বসে গিয়েছেন তাদের মায়েরাও। কাঁচা মাটির বাড়ি-ঘেরা কাঁচা রাস্তার দু’ধারে কেউ ল্যাপটপ খুলে কী যেন খুঁজছে! কেউ আবার অনুবিক্ষণযন্ত্রে চোখ লাগিয়ে জীবানুদের হালচাল দেখছে।

  • 5/12

সিনেমায়, বড়পর্দায় ফুংসুক ওয়াংড়ুকে এমনভাবেই ছোটদের একটি স্কুল চালাতে দেখা গিয়েছিল। বাংলার মাটিতে করোনা মহামারীর মধ্যে বস্তবে এমনই ‘মস্তি কা পাঠশালা’ বিগত দু’বছর ধরে চালাচ্ছেন পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়ার তিলকা মাঝি আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বীপনারায়ণ নায়েক। এলাকায় অবশ্য তিনি ‘রাস্তার মাস্টার’ নামেই বেশি পরিচিত।

  • 6/12

নিজে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় আদিবাসী এলাকায় পড়ুয়াদের স্কুল-ছুটের নানা কারণই তাঁর জানা। তাই নুন আনতে পান্তা ফুরানো, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলে মেয়েদের স্কুলে ফেরাতে আগে তাদের মায়েদের স্বাক্ষরতার আলোয় নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছিলেন দ্বীপনারায়ণবাবু।

  • 7/12

২০১৮ সালে স্কুল-ছুট পড়ুয়াদের মায়েদের স্বাক্ষর করার প্রচেষ্টায় ক্যাম্প চালু করেন দ্বীপনারায়ণবাবু। পরে ল্যাপটপ, অনুবিক্ষণযন্ত্রের মাধ্যমে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার মুক্তাঙ্গানের টানে একে একে বাড়তে থাকে ‘রাস্তার স্কুল’-এর পড়ুয়াদের সংখ্যা।

  • 8/12

সারা সপ্তাহে তিলকা মাঝি আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ানোর পর নিজের সপ্তাহান্তের ছুটিতে এলাকার গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায় ছোটদের একেবারে বাড়ির কাছে গিয়ে নিজের আধুনিক পাঠশালায় সময় দেন দ্বীপনারায়ণবাবু।

  • 9/12

আদিবাসী এলাকার মানুষের মনে বাসা বাঁধা নানা কুসংস্কারের সঙ্গেও লড়তে হয় ‘রাস্তার মাস্টার’ দ্বীপনারায়ণবাবুকে। জ্বর এলে ওঝা নয়, প্রয়োজন চিকিৎসার— এলাকার মানুষকে এ কথা বিশ্বাস করাতে পেরেছেন তিনি। করোনার ভ্যাকসিন নিতে না চাওয়া মানুষগুলোকে টিকার লাইনেও পাঠিয়েছেন তিনি।

  • 10/12

এ সমস্ত কাজেই অবশ্য নিজের পরিবারের সদস্য আর সহকর্মীদের সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন   দ্বীপনারায়ণ নায়েক। একার হাতে এই ধরনের কোনও বড় কাজ কখনওই সম্ভব নয়।

  • 11/12

তবে বিগত তিন বছর ধরে দ্বীপনারায়ণবাবুর নানা উদ্যোগ আদিবাসী এলাকার আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারে আশার আলো দেখিয়েছে।

  • 12/12

জামুড়িয়ার জবা গ্রাম ও সংলগ্ন এলাকার আদিবাসী পরিবারগুলিতে শিক্ষা বিস্তার ‘শূন্য’ থেকে শুরু হয়েছে ‘রাস্তার মাস্টার’-এর হাত ধরেই। অর্থাৎ, তাঁর অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীই ‘ফার্স্ট জেনারেশন লার্নার’। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি নানা সামাজিক ও স্বাস্থ্য সচেতনতার পাঠ পড়ান দ্বীপনারায়ণবাবু। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় একটা গোটা আদিবাসী গ্রামকে আধুনিক করে তুলতে চান ‘রাস্তার মাস্টার’।

Advertisement
Advertisement