Advertisement

স্পেশাল

Pahari Sanyal: ভীমসেন জোশি ছিলেন তাঁর রাঁধুনি! পাহাড়ের মতোই দরাজ ছিল তাঁর অভিনয়-গান

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 10 Feb 2022,
  • Updated 7:19 AM IST
  • 1/10

তিনি হতে পারতেন অসাধারণ একজন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী। তাঁর গানের প্রশংসা করেছিলেন বিখ্যাত শিল্পীরা। কিন্তুর ভাগ্যের ফেরে হয়ে গেলেন অভিনেতা। বাংলা এবং ভারতীয় চলচ্চিত্র জগত পাহাড়ী সান্যালকে মনে রেখেছে এভাবেই।

  • 2/10

তাঁর জন্মস্থান নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে তাঁর খুড়তুতো ভাইয়ের ছেলে ব্রতীন্দ্রনাথ সান্যালের মতে ২২ ডিসেম্বর ১৯০৬ সালে সিমলার কাছে কসৌলি শহরে ওঁর জন্ম। মতভেদে ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯০৬ সালে দার্জিলিং-এ জন্ম।

  • 3/10

পাহাড়ে জন্ম, তাই ডাকনাম পাহাড়ী রাখেন তাঁর বাবা নৃপেন্দ্রনাথ। তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে কর্মরত ছিলেন। বদলির চাকরি ছিল। তাঁর বাবা ছিলেন একজন সঙ্গিতের অনুরাগী। মাত্র দেড় বছর বয়সে তিনি মাতৃহারা হন। ১২ বছর বয়সে তাঁর পিতৃবিয়োগ ঘটে।

  • 4/10

তাঁর জন্ম পাহাড়ে হলেও পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা সবই হয়েছে লখনউতে। সেখানের সমৃদ্ধ উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ঘরানার সংস্পর্শে এসে জীবনের প্রথম প্রেমটি করলেন। চিরটা কাল এই সঙ্গীতের কাছেই নাড়া বেঁধেছিলেন তিনি। তবে শখের নয়; রীতিমতো উস্তাদ, পণ্ডিতদের কাছে তালিম নেওয়া গলা তাঁর। খুব ভালো তবলা বাজাতেও পারতেন।

  • 5/10

গানের সূত্রেই সঙ্গীত জগতের তাবড় তাবড় দিকপালদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে তাঁর। উস্তাদ মহম্মদ হোসেন, পণ্ডিত রবিশঙ্কর, ভীমসেন জোশি, তালিকাটি বেশ লম্বা। যুদ্ধে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বাবা। পরে আসে মৃত্যু সংবাদ। সেই সময়ই আসেন অতুলপ্রসাদ। তাঁর পরিবারের খুব আপন হয়ে গিয়েছিলেন পাহাড়ী সান্যাল। গানপাগল এই ছেলেটিকে বিশেষ স্নেহের চোখে দেখতেন তিনি।

  • 6/10

পণ্ডিত ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের সন্ধানে কলকাতায় এসে কিশোর ভীমসেন জোশি পাহাড়ী সান্যালের বাড়িতে কাজের লোক হিসেবে কিছু কাল কাটিয়ে গিয়েছেন, এমনও শোনা যায়। গীতিকার, পরিচালক গুলজার এই প্রসঙ্গে একটি স্বরচিত কলামে তার উল্লেখ করেছেন।

  • 7/10

চিত্রগ্রাহক কৃষ্ণগোপালের মাধ্যমে নিউ থিয়েটার্সের প্রমথেশ বড়ুয়া পরিচালিত ‘রূপলেখা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রথম চুক্তিবদ্ধ হলেও, সে ছবিতে কাজ করা হয়নি পাহাড়ীর। নিজের অভিনয় জীবনে কল টাইম মিস করেননি কোনোদিন। এই ব্যাপারে ওঁর ছিল প্রবাদপ্রতিম নিষ্ঠা। ১১টায় সময় দেওয়া থাকলে, কাঁটায় কাঁটায় ১১টাতেই ঢুকতেন তিনি।

  • 8/10

সহকর্মী হিসেবে পেয়েছিলেন প্রমথেশ বড়ুয়া, সায়গল, কৃষ্ণচন্দ্র দে, পৃথ্বীরাজ কপূর, পঙ্কজ মল্লিক, দেবকী বসু, রাইচাঁদ বড়াল, নজরুল ইসলাম, কাননদেবী, যমুনা বড়ুয়া প্রমুখ বাংলা ছবির প্রথম যুগের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বকে। এঁদের সান্নিধ্যে পাহাড়ী সান্যাল বাংলা সিনেমার অপরিহার্য অভিনেতা হয়ে ওঠেন।

  • 9/10

পাহাড়ী সান্যাল বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি মিলিয়ে প্রায় ১৯৭টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। চারের দশকের গোড়ায় তিনি পৃথ্বীরাজ কপূরের সঙ্গে মুম্বই পাড়ি দেন। সেখানেও ধারাবাহিক ভাবে ‘মৌজ’, ‘মহব্বৎ’, ‘ইনসান’, ‘আনবান’, ‘প্রীত’, ‘মিলন’ ইত্যাদি ছবিতে কাজ করেন।

  • 10/10

পাঁচের দশকে কলকাতায় ফিরে আসার পর থেকে পাহাড়ী সান্যাল ক্রমশ চরিত্রাভিনয়ের দিকে সরে যান। সেই সময় উত্তমকুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেন, সুপ্রিয়াদেবী প্রমুখ পরবর্তী প্রজন্মের অভিনেতার সঙ্গেও তিনি চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ ছবিতে তাঁর গাওয়া অতুলপ্রসাদের গান সেই ছবির অন্যতম ইউ এস পি ছিল।

শেষ জীবনে অত্যন্ত অর্থকষ্টে জীবন কেটেছিল তাঁর। মঞ্চে অভিনয়ের সময় হঠাৎই অসুস্থ অনুভব করেন। বাড়িতে ফিরে পড়ে যান বাথরুমে। তড়ঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করার পর জানা যায় ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে। মাত্র একদিনের মধ্যে ১৯৭৪ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি পাহাড়ী সান্যালের জীবনাবসান হয়।

 

তথ্যসূত্র:

আনন্দবাজার পত্রিকা

ইন্টারনেট

Advertisement
Advertisement