ব্রহ্মান্ডের সবচেয়ে বড় বস্তু হারকিউলিস করোনা বোরিয়ালিস গ্রেট ওয়াল। এটি আকাশগঙ্গার একটা সমূহ। এটা পার করতে আলোর ১ হাজার কোটি বছর লেগে যায়। এখন এই বিষয়টি মাথায় রাখুন যে আমাদের ব্রহ্মাণ্ড ১৩৮০ কোটি আলোকবর্ষ পুরনো। আপনি জেনে নিন যে হারকিউলিস করোনা বোরিয়ালিস কত বড়! এই ছবিতে যে লাল দাগ দেখা যাচ্ছে সেটি আমাদের আকাশগঙ্গা।
বড় হওয়ার মানে কী? যদি আপনার পৃথিবীকে বড় মনে হয়, কারণ এর ব্যাস ৪০ হাজার ৬৫ কিলোমিটার। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এটি এত ছোট যে কোনও গুরুত্ব নেই আমাদের সৌরমণ্ডলের চেয়ে বহুগুণ বড় বৃহস্পতি গ্রহ এর মধ্যে তেরোশো পৃথিবী ঢুকে যেতে পারে। এর পরেই আমাদের তারকা অর্থাৎ সূর্য যাতে লক্ষ পৃথিবীর ভেতরে ঢুকে যেতে পারে।
এখন আপনার মনে হতে পারে যে সূর্য সবচেয়ে বড়। কিন্তু না এটা ভুল। সূর্য হল তারা, যেটি হল বলে বিজ্ঞানীরা তারা খুঁজেছেন, সবচেয়ে বড় তারা ইউ ওয়াই স্কুটি। এর মধ্যে ১৭০০ সূর্য ঢুকে যেতে পারে। আমাদের সূর্যের থেকে ৩০ গুণ বড়। এর মত আর কোন তারা ব্রহ্মাণ্ডে নেই। এখন আপনি ভাবুন। আমাদের আমাদের ছেড়ে দিন, পৃথিবীর বা আমাদের সূর্যের এই ব্রহ্মান্ডে কি যোগ্যতা রয়েছে?
এই সূর্যের থেকেও বড় হয় ব্ল্যাক হোল। আমাদের আকাশগঙ্গাতে কত এরকম ব্ল্যাকহোল রয়েছে যা আমাদের সূর্যের ৪০ লাখ গুণ বড়। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। যার নাম এনজিসি ৪৮৮৯। এটি আমাদের সূর্যের ২১০ গুণ বেশি ভারী হবে। ব্ল্যাক হোল বড় হয় না, কিন্তু তার ঘনত্ব অনেক বেশি হয়।
নেবুলাস, গ্যাসের মেঘকে বড় বেলুনের যেটি নিজেদের মধ্যে মিলে তৈরি হয় তারা মিলিত ভাবে তারা তৈরি করে। এটাও বড় হয়। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নেবুলাস খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তার নাম এনজিসি ৬০৪। গ্যালাক্সি রয়েছে এর লম্বা ১৫ কোটি আলোকবর্ষ। আমাদের নিজেদের গ্যালাক্সি অর্থাৎ আকাশগঙ্গা ১ লক্ষ আলোকবর্ষ লম্বা।
এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বড় গ্যালাক্সি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, যার ২০ হাজার ৯৯০ সালে সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। এর নাম আইসি ১০১। নাসার খবর অনুযায়ী i১১০ গ্যালাক্সি ৪০ লক্ষ আলোকবর্ষ চওড়া। এর দৈর্ঘ্য সম্পর্কে অনুমান করা সম্ভব হয়নি। যখন গ্যালাক্সিগুলির গুচ্ছ তৈরি হয়েছে তখন তাকে গ্যালাক্সির ক্লাস্টার বলে। যেমন আকাশগঙ্গা মিল্কিওয়ে অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি।
আপাতত ব্রহ্মাণ্ডকে সবচেয়ে বড় সুপারস্টার যেটি রয়েছে সবচেয়ে বড় আকৃতির বলা হয় সেটি হলো হারকিউলিস করোনা বোরিয়ালিস গ্রেট ওয়াল। আমাদের আকাশগঙ্গা এর অন্তর্গত এটি এক ধরনের ব্রহ্মান্ডের যে কোনও জিনিসের বৃদ্ধি যুক্ত হওয়া নির্মাণ এর জন্য ভালো মনে করা হয়।হারকিউলিস এবং বোরিয়ালিস আলাদা আলাদা নক্ষত্র। মাঝখানেই গামা রে বার্স্ট থাকে।
এখন জেনে নিই যে আমাদের সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে বড় বস্তু কী? সবচেয়ে আগে সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতি রয়েছে। এর ব্যাস ১.৪২ লক্ষ কিলোমিটার এর বেশি। এটি পৃথিবীর থেকে তিনগুণ বেশি। এর ভেতর তেরোশোর বেশি পৃথিবী ঢুকে যেতে পারে।
বৃহস্পতির উপগ্রহ গ্যানিমেড সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে বড় চাঁদ। এটি প্রায় ৫ হাজার ২৬৮ কিলোমিটার ব্যাসের। বায়ুমন্ডলের বুধ গ্রহ থেকে একটু বড়।
সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ও মঙ্গল গ্রহে স্থিত। অলিম্পাস মনস এটি প্রায় ২৫ কিলোমিটার উঁচু। পৃথিবীর সবচেয়ে উচু পাহাড় মাউন্ট এভারেস্ট থেকে প্রায় তিনগুন বেশি উঁচু।
সবচেয়ে বড় গিরিখাতও মঙ্গল গ্রহতে রয়েছে। এর নাম ভ্যালেস মেরিয়ানিয়ারেস। এটি তিন হাজার কিলোমিটার লম্বা এবং ৬০০ কিলোমিটার চওড়া। এর গভীরতা ৮ কিলোমিটার।
সবচেয়ে বড় গ্রেটার ও মঙ্গল গ্রহতে রয়েছে। এর নাম ইউটোপিয়া প্লেন এশিয়া ৩৩শো কিলোমিটার। আমেরিকার স্পেস ক্রাফট এখানে ১৯৭৬ সালে নেমেছিল।
সবচেয়ে বড় এস্টেরয়েড এর নাম ভেসটা। এটি প্রায় পাঁচশো ত্রিশ কিলোমিটার লম্বা। ভেসটা এস্টেরয়েড মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মধ্যে স্থিত। এস্টরয়েড বেলট চক্র লাগাচ্ছে।
সবচেয়ে বড় ডার্ফ প্লানেট। আমাদের সৌরমণ্ডলের বাইরে বের করে দেওয়া প্লুটোর ব্যাস ২৩৭০ কিলোমিটার। আগে প্লুটোকে এরিস নামের গ্রহ থেকে ছোট প্লানেট মনে করা হতো। ২০১৫ তে নিউ হরাইজন স্পেসক্রাফট জানিয়েছে যে প্লুটো বড়।