কোল্ড ওয়ার চলাকানী চিনে পরমাণু হামলা করার পরিকল্পনা ছিল আমেরিকার। সম্প্রতি পেন্টাগন পেপার্স খ্যাত ড্যআনিয়েল এল্সবার্গ বেশ কিছু নথি ইন্টারনেটে আফলোড করেন। তা থেকই এ কথা জানা গিয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস এ বিষয়ে বড় খবর ছেপেছে।
নথি অনুযায়ী ১৯৫৮ সালে তাইওয়ানকে কমিউনিস্ট শাসনের হামলা থেকে বাঁচাতে তৎপর হয়েছিল আমরিকা। সে সময় আমেরিকান জেনারেল চিনে পরমাণু বোমা নিয়ে হামলা করতে উদ্যত হয়েছিলেন।
আমেরিকা এটাও জানত, চিনের সাহায্যের জন্য এঘিয়ে আসবে রাশিয়া। এবং পরমাণু হামলার জবাবও দেবে। জানারেলের বক্তব্য ছিল, তাইওয়ানের সুরক্ষার জন্য আমেরিকাকে এ ঝুঁকি নিতে হবে।
প্রাক্তন সেনা বিশেষজ্ঞ এল্সবার্গ এ সংক্রান্ত বিশেষ কিছু নথি অনলাইনে আপলোড করেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ও কিছু গোপন নথি প্রকাশ্যে আনার পর তিনি রাতারাতি বিখ্যাত হয়েছিলেন। ৯০ বছরের এল্সবার্গ এখন নিভৃতে জীবন কাটাচ্ছেন।
এল্সবার্গ নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানান, ১৯৭০-এর দশকেই তিনি এ সংক্রান্ত নথি জোগাড় করেছিলেন। কিন্তু সে সময় তিনি প্রকাশ করেননি। এখন যখন তাইওয়ান নিয়ে চিন এবং আমেরিকার মধ্যে দ্বন্দ্ব আবার চরমে পৌঁছেছে, সে সময় তিনি এই নথি প্রকাশ্যে আনলেন।
নথিতে বলা হয়েছে, তৎকালীন আমেরিকান জেনারেল ন্যাথান টুইনিং এটা স্পষ্ট জানান, চিন যদি এর পর তাইওয়ানে কোনও রকম হামলা করে, তবে চিনের এয়ার ফিল্ড গুলোতে পরমাণু হামলা চালানো হবে।
যদি তাতেও চিনের হুঁশ না ফেরে সে ক্ষেত্রে চিনের মূল ভূখণ্ডে এমনকী সাংহাই-তেও পরমাণু হামলা চালানো হবে বলে জানিয়েছিলেন টুইনিং।
তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট যদিও প্রথমেই পরমাণু হামলার পক্ষে ছিলেন না। তবে এতেই কাজ হয়েছিল। চিন আৎ নতুন করে তাইওয়ানের উপর আগ্রাসন দেখাতে পারেনি। স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র হিসাবে তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হয়েছিল।