Advertisement

বিশ্ব

Ayatollah Ali Khamenei: যাঁর নির্দেশ ছাড়া ইরানে পাতাও নড়ে না, কে আয়াতোল্লাহ খামেনেই? ইজরায়েলের টার্গেট এই ব্যক্তিই

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • তেহরান,
  • 17 Jun 2025,
  • Updated 9:33 AM IST
  • 1/13

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে একটি নাম বিশেষভাবে উঠে আসছে। নামটি হল, আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। ইরানের সুপ্রিম লিডার। সর্বোচ্চ নেতা। যাঁর নির্দেশ ছাড়া ইরানে পাতাও নড়ে না। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলছেন, ইরানের সঙ্গে কোনও যুদ্ধ হচ্ছে না। এটা আসলে যুদ্ধের শেষ। কীরকম শেষ? নেতানিয়াহুর বক্তব্য, আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে হত্যা করতে পারলেই যুদ্ধ মিটে যাবে। খামেনেইকেই মূলত টার্গেট করেছে ইজরায়েল। 
 

  • 2/13

এখন প্রশ্ন হল, আয়াতোল্লা আলি খামেনেই লোকটি কে, যাঁকে নিয়ে এত বড় কথা বলছেন নেতানিয়াহু? কেন একটি লোককে মারতে পারলেই দুটি দেশের যুদ্ধ থেমে যাবে চিরকালের মতো? 
 

  • 3/13

বর্তমানে ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি হলেন আয়াতোল্লাহ সাইয়্যেদ আলি খামেনেই। ১৯৮৯ সাল থেকে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা (Supreme Leader) পদে আছেন। তিনি শুধু রাজনৈতিক প্রধানই নন, ধর্মীয়ভাবেও দেশটির সবচেয়ে বড় কর্তৃত্ব। কিন্তু কেমন করে একজন ধর্মগুরু দেশের শীর্ষতম নেতায় পরিণত হলেন? চলুন খুঁজে দেখা যাক তাঁর উত্থানের পথচলা।

  • 4/13

আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই ১৯৩৯ সালে ইরানের মাশহাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং শিয়া মতবাদের একজন ধর্মগুরু হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন। তাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ ঘটে ইরানে রাজতন্ত্রবিরোধী আন্দোলনের সময়। তিনি ছিলেন আয়াতোল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেইনির ঘনিষ্ঠ অনুসারী—যিনি ১৯৭৯ সালের ইরানি ইসলামি বিপ্লবের প্রধান নেতা।
 

  • 5/13

খামেইনির নেতৃত্বে শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির রাজতন্ত্র উৎখাত হলে ইরানে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। নতুন শাসনব্যবস্থায় খামেনেই ধীরে ধীরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে শুরু করেন। তিনি ১৯৮১ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ইরানের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এর আগে ছিলেন সংসদ সদস্য (মজলিস)।

  • 6/13

ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় তিনি খামেইনির প্রতিনিধি হিসেবে সেনাবাহিনীতে কার্যত তদারকির কাজ করতেন। যদিও সে সময় তাঁর ধর্মীয় পদমর্যাদা 'হোজ্জাতুল ইসলাম' ছিল—অর্থাৎ এখনও শীর্ষস্থানীয় আয়াতোল্লাহর পর্যায়ে পৌঁছননি।

  • 7/13

১৯৮৯ সালে আয়াতোল্লাহ খামেইনির মৃত্যু হয়। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে আগে থেকেই মনোনীত ছিলেন আয়াতোল্লাহ হোসেইন আলি মোন্তাজেরি। কিন্তু খামেইনির সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

  • 8/13

এমন সময়ে ইরানের শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান 'অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্টস' নতুন সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচন করতে বসে। সেখানে অস্থায়ীভাবে খামেনেইকে নেতা হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়, যদিও তিনি তখনও ধর্মীয় যোগ্যতা অনুযায়ী শীর্ষ নেতার শর্ত পূরণ করতেন না।

  • 9/13

তৎক্ষণাৎ ইরানের সংবিধান বদলে দেওয়া হয়, যাতে সর্বোচ্চ নেতার ক্ষেত্রে 'মারজায়ে তাকলিদ' বা সর্বোচ্চ ধর্মীয় ব্যাখ্যাতা হওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়। এই পরিবর্তনের মাধ্যমেই খামেনেই স্থায়ীভাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হয়ে যান।
 

  • 10/13

ইরানের সংবিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ নেতা হচ্ছেন দেশের প্রকৃত শাসক। প্রেসিডেন্ট ও সংসদ থাকলেও তাঁদের সকল কার্যকলাপের উপরে নজর রাখেন খামেনেই।

  • 11/13

তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন,  সেনাবাহিনী ও বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC), বিচারব্যবস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থা, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, বিদেশনীতি ও পরমাণু কর্মসূচি, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও প্রার্থীদের অনুমোদন। এছাড়া, তিনি দেশের শীর্ষ বিচারপতি, রক্ষণশীল 'গার্ডিয়ান কাউন্সিল'-এর অর্ধেক সদস্য এবং শুক্রবারের নমাজের ইমামদেরও মনোনয়ন দেন।

  • 12/13

তাঁর শাসনকালে ইরানে বহুবার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। ২০০৯ সালের 'গ্রিন মুভমেন্ট' আন্দোলন বা ২০২২ সালের 'মাহসা আমিনি' বিক্ষোভ—সব ক্ষেত্রেই সরকারের দমননীতি সামনে এসেছে। ধারণা করা হয়, খামেনেই নিজেই এসব দমননীতির নির্দেশদাতা। নির্বাচনের আগে তিনি সংস্কারপন্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করেও সমালোচিত হয়েছেন।

  • 13/13

আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই একাধারে ধর্মীয় নেতা, রাজনীতিক ও কৌশলী রাষ্ট্রনায়ক। তাঁর উত্থান ঘটেছিল বিপ্লবের সময়কার আনুগত্য ও পরবর্তী সময়ে ক্ষমতার কুশলী বিন্যাসের মাধ্যমে। সংবিধান বদলে নিজের পক্ষে পরিস্থিতি আনা, শীর্ষ কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং দীর্ঘদিনের কড়া শাসনের মাধ্যমে তিনি এখন ইরানের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও শক্তিশালী নেতা। 

Advertisement
Advertisement