Advertisement

50 Paise And 1 Rupee Coins: ২৫ পয়সা তো বাতিল, ৫০ পয়সা বা ১ টাকার ছোট কয়েন আদৌ বাজারে বৈধ? জানুন

টোটো থেকে বাস বা পাড়ার মুদিখানা দোকানদার, খুচরো কয়েন নিয়ে মাঝে মাঝেই এদের সঙ্গে ক্রেতাদের ঝামেলা লেগে যায়। আসলে অনেক সময় খুচরো কয়েন বাজার থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। যার কারণে তা ক্রেতা বা ব্যবসাদার, কারোরই হাতে আসে না।

৫০ পয়সা বা ১ টাকার ছোট কয়েন আদৌ বাজারে বৈধ৫০ পয়সা বা ১ টাকার ছোট কয়েন আদৌ বাজারে বৈধ
সঞ্জয় পাত্র
  • কলকাতা,
  • 14 Jan 2023,
  • अपडेटेड 7:16 PM IST
  • ২০১১ সালের ৩০ জুন থেকে ভারতে ২৫ পয়সা বাতিল হয়
  • এর নীচের কয়েনও বাতিল হয়েছে
  • ৫০ পয়সার কয়েন এখনও বৈধ মুদ্রা

টোটো থেকে বাস বা পাড়ার মুদিখানা দোকানদার, খুচরো কয়েন নিয়ে মাঝে মাঝেই এদের সঙ্গে ক্রেতাদের ঝামেলা লেগে যায়। আসলে অনেক সময় খুচরো কয়েন বাজার থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। যার কারণে তা ক্রেতা বা ব্যবসাদার, কারোরই হাতে আসে না। আবার এখন রাজ্যের নানা জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে ছোট ১ টাকা (1 Rupee Coins) ও ৫০ পয়সার কয়েন (50 Paise Coin) নাকি নেওয়া হচ্ছে না। বলা ভাল চলছে না। কিন্তু সত্যিই কি তাই? নাকি এর পেছনে রয়েছে অদৃশ্য কোনও কারণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাজারে কোন কয়েন বৈধ আর কোনটি নয়।

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India) দেশে মুদ্রা ইস্যু করে। আইনের ২২ ধারা অনুসারে, ভারতে নোট বা কয়েন ইস্যু করার অধিকার রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে। নোট বা কয়েনের নকশা, ফর্ম এবং বিষয়বস্তু ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় বোর্ডের সুপারিশগুলি বিবেচনা করার পরে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষ।

আরও পড়ুন

 

২০১১ সালের ৩০ জুন থেকে ভারতে ২৫ পয়সা (25 Paise Coin) বা তার নীচের কয়েন আর বৈধ নেই। এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ২০১১ সালের ৩০ জুন ২৫ পয়সা ও তার নীচের কয়েন ব্যাঙ্কের শাখা এবং আরবিআই ইস্যু অফিসগুলিতে বিনিময়ের জন্য গ্রহণ করা হয় না। অর্থাৎ কারও কাছে এখনও এই ধরনের কয়েন থাকলে তা আর বাজারে চলবে না। মানে ২৫ পয়সা তার নীচের কোনও কয়েন দিয়ে কিছু কেনা-বেচা করা যাবে না।

৫০ পয়সার কয়েন কি বাজারে চলছে (50 paisa coins are legal)?

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও ৫০ পয়সার কয়েনকে বাতিল ঘোষণা করেনি। অর্থাৎ ৫০ পয়সার কয়েন এখনও বৈধ মুদ্রা। যা ব্যবহার করা যাবে কেনাকাটা করতে গেলে। তবে, গত বছর একেবারে পুরনো ১ টাকা ও ৫০ পয়সার কিছু নির্দিষ্ট কয়েন বাজার থেকে তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে আরবিআই। এর মানে এটা নয় যে এই ধরনের মুদ্রা আইনি টেন্ডার নয়। এই কয়েনগুলি আইনি টেন্ডার, কিন্তু এগুলো পুরানো কয়েন এবং ১৯৯০ এবং ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকে প্রচলিত ছিল বলে এগুলো বাজার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। একবার আপনি এই কয়েনগুলি ব্যাঙ্কে জমা দিলে, সেগুলি লেনদেনের জন্য আর জারি করা হবে না। আপনাকে বদলে অন্য কয়েন দেওয়া হবে। আসলে ৫০ পয়সা, ১ টাকা, ২ টাকা, ৫ টাকা, ১০ টাকা এবং ২০ টাকা মূল্যের সমস্ত কয়েন বিভিন্ন আকার, থিম এবং ডিজাইনে সময়ে সময়ে বের করা হয়েছে।

Advertisement

ভুল ধারণা

কিছু মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে যে ৫০ পয়সা ও ১ টাকায় কয়েন আর বাজারে চলছে না। সেই কারণে তারা এই কয়েনগুলি নিতেও চাইছে না। তবে সেটা একেবারেই ঠিক নয়। একই কথা বলেছেন কলকাতার বাসিন্দা বিশিষ্ট মুদ্রা সংগ্রাহক সুমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৫০ পয়সা ও ১ টাকায় কয়েন নিতে বাধ্য সবাই। অভিযোগ করলে তা শাস্তিযোগ্য আবরাধ। কতগুলি শহর বাদ দিয়ে ১ টাকা চলছে না বাজারে সেটা আমিও জেনেছি। কেউ দিচ্ছেও না, নিচ্ছেও না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এই কয়েন নিতে হবে প্রত্যেককেই। সরকার কোনও সময় বলেনি যে ৫০ পয়সার কয়েন বাতিল করা হয়েছে। অনেকবার নোটবন্দি করা হয়েছে। নতুন পয়সা চালু হয়েছে অনেকবারই। ২০১১ সালে ২৫ পয়সা ও তার নীচের কয়েন বাতিল করা হয়। অনেকে আবার ২০০০ টাকার নোটও নিতে চাইছে না। এটা একেবারেই ঠিক নয়।'

গত বছর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার সুমন রাই বলেছেন যে কোনও নোটে রঙ, কালি বা কলম দিয়ে কিছু লেখা থাকলে, এই ধরনের নোটগুলি ব্যাঙ্কে জমা করা যেতে পারে। এছাড়াও বিকৃত এবং ছেঁড়া-ফাটা নোট ব্যাঙ্কে জমা করা যেতে পারে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement