বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারি (26 January Republic Day)। ১৯৫০ সালে এই দিনেই কার্যকর হয়েছিল দেশের সংবিধান। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারত স্বাধীন হলেও তখনও দেশে কোনও স্থায়ী সংবিধান ছিল না। তাই স্থায়ী সংবিধান রচনার জন্য সেই বছরেরই ২৮ অগাস্ট একটি ড্রাফটিং কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় ভীমরাও রামজি আম্বেদকরকে। এরপর সেই বছরেরই ৪ নভেম্বর কমিটি সংবিধানের একটি খসড়া তৈরি করে গণপরিষদে জমা দেয়। বারংবার আলোচনার পর ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গৃহিত হয় ভারতের সংবিধান। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত হয়, ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালনের দিনটিকে শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৫০-এর ২৬ জানুয়ারি-ই (Republic Day 2023) কার্যকর হবে দেশের সংবিধান।
ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আর ২৬ জানুয়ারি হল ভারতের সেই গণতন্ত্রেরই অন্যতম বড় উৎসব। কিন্তু এই দিনটিকে প্রজাতন্ত্র, নাকি সাধারণতন্ত্র বলা হবে, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। এক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, বিশেষজ্ঞদের মতে গণতন্ত্র ও প্রজাতন্ত্র বিষয় দুটি মোটামুটি একই ধরণের হলেও, কিছু সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। অন্যদিকে আবার প্রজাতন্ত্র ও সাধারণতন্ত্রের মধ্যেও রয়েছে কিছু সামান্য তফাৎ। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন প্রজা এবং জনসাধারণ মূলত একই বিষয় হলেও, প্রজা কথাটি সেখানেই ব্যবহার কথা যথার্থ যেখানে আজও রাজতন্ত্র বা রাজা-রানি রয়েছেন।
এবার এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে পৃথিবীতে আজও এমন দেশ বর্তমান যেখানে রাজা কিংবা রানি থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্র রয়েছে। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ইংল্যান্ড। কারণ সেখানে নির্বাচন হয় এবং দেশ পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু যেহেতু সেখানে আজও রাজা কিংবা রানি রয়েছেন, তাই বিশেষজ্ঞদের মতে ব্রিটেন বা ওই ধরনের দেশকে প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যেতে পারে। কিন্তু ভারতে যেহেতু রাজা বা রানি নেই, এখানে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ জনপ্রধিনিধিকে নির্বাচতি করেন এবং প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করেন, তাই ভারতকে সাধারণতন্ত্র বলাই বেশি যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কারণেই ২৬ জানুয়ারিকে বলা উচিত সাধারণতন্ত্র দিবস।
আরও পড়ুন - মেয়ের সম্মান বাঁচাতে গিয়ে বাবা খুন, সেই শ্যামপুরে ব্যাপক বিক্ষোভ BJP-র