Advertisement

সাড়ে তিনশো বছর ধরে এই গ্রামে দেবী দুর্গা পূজিত হচ্ছেন মনসা রূপে

রাজ্যের নানা প্রান্তে নানারকমভাবে মা দুর্গার পুজো হয়। কিন্তু দেবী দুর্গা মনসা রূপে পূজিত হন তা কখনও শুনেছেন কি? দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের ফুলঘরা গ্রামের গ্রামবাসীরা দুর্গাকে মা মনসা হিসেবে পুজো করেন। মূর্তিও তৈরি হয় মা মনসার। নিয়ম, বিধি দুর্গাপুজোরই। একপাশে সরস্বতী, আরেকপাশে লক্ষ্মীকে সঙ্গে নিয়েই হয় মায়ের অধিষ্ঠান। 

মা মনসা (ছবি: উইকিপিডিয়া)মা মনসা (ছবি: উইকিপিডিয়া)
মধুরিমা দেব
  • কলকাতা,
  • 17 Sep 2021,
  • अपडेटेड 9:03 PM IST
  • দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের ফুলঘরা গ্রামের গ্রামবাসীরা দুর্গাকে মা মনসা হিসেবে পুজো করেন
  • মূর্তিও তৈরি হয় মা মনসার
  • নিয়ম, বিধি দুর্গাপুজোরই

রাজ্যের নানা প্রান্তে নানারকমভাবে মা দুর্গার (Maa Durga) পুজো হয়। কিন্তু দেবী দুর্গা মনসা (Devi Manasa) রূপে পূজিত হন তা কখনও শুনেছেন কি? দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের (Balurghat) ফুলঘরা গ্রামের গ্রামবাসীরা দুর্গাকে মা মনসা হিসেবে পুজো করেন। মূর্তিও তৈরি হয় মা মনসার। নিয়ম, বিধি দুর্গাপুজোরই। একপাশে সরস্বতী, আরেকপাশে লক্ষ্মীকে সঙ্গে নিয়েই হয় মায়ের অধিষ্ঠান। 

তবে এর পিছনে রয়েছে এক রোমাঞ্চকর কাহিনী। নানা তথ্য থেকে জানা যায়,  প্রায় সাড়ে তিনশো বছরেরও আগে ফুলঘরার বহু গ্রামবাসী সর্পাঘাতে মারা গেছিলেন। মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুরও মৃত্যু ঘটেছিল। এঅবস্থায় এক গ্রামবাসী স্বপ্ন দেখেন মা মনসার পুজো করলে কেউ আর সর্পাঘাতে মারা যাবেন না। 

এরপর ঘটে আরও অত্যাশ্চর্যকর ঘটনা। দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদীতে স্নান করতে গেলে তিনিই নাকি একদিন মা মনসার কাঠামো ভেসে যেতে দেখেন। এরপর সেই কাঠামো তুলে নিয়ে এসে মন্দিরে স্থাপন করে হয় মনসাপুজো। আগে শ্রাবণ মাসের ভরা বর্ষায় এই পুজো শুরু হতো। এরপর ওই গ্রামে দুর্গাপুজো না হওয়ায় দুর্গাপুজোর দিনগুলিতেই মা মনসার পুজো শুরু হয়। এই পুজো শুরুর পর শোনা যায় সর্পাঘাতে মৃত্যুর ঘটনা বন্ধ হয়।

আরও পড়ুন

পুজোর এই চারদিন নিরামিষ আহার ভোজন, চণ্ডী মঙ্গল পাঠ, মা মনসার মন্ত্র পাঠও করা হয়। নানানরকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন বসে। আনন্দ করে দিন কাটায় কচি কাঁচারা। 

Read more!
Advertisement
Advertisement