Advertisement

বেলেঘাটার ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গা 'কালো', কেন? সেও এক রহস্য

শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের পাবনা জেলার স্থলবসন্তপুর অঞ্চলে। তথ্য অনুযায়ী, নাটোরের রাণী ভবানীর আমলের শ্রী হরিদেব ভট্টাচার্য প্রথমবার এই পারিবারিক দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন। তিনি ছিলেন নদীয়া জেলার বাসিন্দা। নাটোরের রাণী মা তাঁকে জমি প্রদান করেন এবং হরিদেব ভট্টাচার্য স্থলবসন্তপুরের জমিদার হয়ে যান। 

বেলেঘাটার ভট্টাচার্য বাড়ির কালো দুর্গা (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)বেলেঘাটার ভট্টাচার্য বাড়ির কালো দুর্গা (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
মধুরিমা দেব
  • কলকাতা,
  • 06 Sep 2021,
  • अपडेटेड 4:53 PM IST
  • বেলেঘাটার ভট্টাচার্য বাড়ির 'কালো দুর্গা' পুজো
  • প্রায় ২৯০ বছরের পারিবারিক দুর্গাপুজো
  • তবে তা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের পাবনা জেলার স্থলবসন্তপুর অঞ্চলে

Durga Puja: আর মাত্র কয়েকদিন। মা আসছেন বছরঘুরে। ঢাক, কাঁসর, ঘণ্টায় মেতে উঠবে বাংলা। শরতের পেঁজা তুলোর মতো মেঘ আর কাশ ফুল। এ সময়ের জন্য বাঙালির অপেক্ষা চিরকালীন। প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়ানো থেকে বনেদি বাড়িতে পুজো দর্শন, খিচুড়ি, লাবড়া আর স্ট্রিট ফুড পুজোর চারটে দিন এগুলো না করলে খুব বড় মিস। কলকাতার আশেপাশে আমরা অনেক বনেদি বাড়ির পুজোর কথা শুনেছি, দেখেছি। কিন্তু এমন কিছু বনেদি পুজো আছে যেগুলি অনন্য হলেও খ্যাতি পায়নি। তার মধ্যে একটি হল বেলেঘাটার ভট্টাচার্য বাড়ির 'কালো দুর্গা' পুজো। প্রায় ২৯০ বছরের পারিবারিক দুর্গাপুজো। 

শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে

তবে তা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের পাবনা জেলার স্থলবসন্তপুর অঞ্চলে। তথ্য অনুযায়ী, নাটোরের রাণী ভবানীর আমলের শ্রী হরিদেব ভট্টাচার্য প্রথমবার এই পারিবারিক দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন। তিনি ছিলেন নদীয়া জেলার বাসিন্দা। নাটোরের রাণী মা তাঁকে জমি প্রদান করেন এবং হরিদেব ভট্টাচার্য স্থলবসন্তপুরের জমিদার হয়ে যান। 

আরও পড়ুন

মা দুর্গাকে 'কালো রূপে' পুজো করার রহস্য

জানা গেছে, অনেক আগে থেকেই এই ভট্টাচার্য বাড়িতে মা কালীর পুজো হতো। কিন্তু শ্রী হরিদেব ভট্টাচার্য স্বপ্নাদেশ পেয়ে দুর্গাপুজো শুরু করেন। মা স্বপ্নে আদেশ দিয়েছিলেন কালো দুর্গামূর্তি দিয়েই পুজো করতে হবে। সেই মতো আজও কালো দুর্গামূর্তির পুজো হচ্ছে ভট্টাচার্য বাড়িতে। বেলেঘাটার 'ধীরেন চারু স্মৃতি সংঘ' মন্ডপের খুব কাছেই ভট্টাচার্য বাড়ি, আর সেখানেই আরাধনা হয় কালো দুর্গার। 

মায়ের রঙ কালো হলেও তাঁর চার সন্তানের গাত্র সাদা। মহিষাসুর আবার সবুজ রঙের। ভট্টাচার্য বাড়ির এই পূজো সম্পন্ন হয় কালিকা পুরাণ মতে। মা এখানে পূজিতা হন ভদ্রকালী রূপে। চার সন্তানের অবস্থানও এখানে আলাদা মায়ের ডান পাশে থাকেন লক্ষ্মীদেবী ও কার্তিক এবং বামপাশে থাকেন দেবী সরস্বতী এবং গণেশ। 

বর্তমান পরিস্থিতি 

পাবনা জেলার শ্রী হরিদেব ভট্টাচার্য যে কালো দুর্গা আরাধনা শুরু করেছিলেন, সেই ঐতিহ্যকে বয়ে নিয়ে চলেছেন পরিবারের নতুন প্রজন্মেরা। ওপর বাংলার পুজো এপার বাংলায় আসে কোনওভাবেই বদলে যায়নি। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে বাড়ির পুজো অ্যাপার্টমেন্টের নীচে করা হলেও, মায়ের আরাধনা করা হয় পুরনো রীতি রেওয়াজ মেনেই। 

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement