ভারতীয়রা গড়পড়তা ক'বছর পারেন? এনিয়ে এবার প্রকাশিত হল একটি সমীক্ষা রিপোর্ট। ভারত যখন স্বাধীন হয়েছিল ১৯৪৭ সালে দেশের গড় বয়স ছিল মাত্র ৩২ বছর। অর্থাৎ সেই সময়ে ভারতীয়রা গড়ে মাত্র ৩২ বছর বাঁচতে পারতেন। এখন গড় বয়স বেড়ে হয়েছে ৬৯ বছর। তার মানে, স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয়দের গড় বয়স দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের (এসআরএস) নতুন রিপোর্টে উঠে এল এমন তথ্য। যদিও বিশ্বের গড় আয়ুর চেয়ে এখনও কম ভারতীয়দের আয়ু। বিশ্বে গড় আয়ু ৭২ বছর ৬ মাস। ভারতীয়দের মধ্যে গড় আয়ুতে মরাঠি ও তামিলদের থেকে পিছিয়ে বাঙালিরা।
মহিলাদের আয়ু বেশি
SRS-এর Abridged Life Table ২০১৫-১৯ সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, এদেশের মানুষের গড় আয়ু ৬৯ বছর ৭ মাস। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, মেয়েদের গড় আয়ু পুরুষের তুলনায় বেশি। আড়াই বছর বেশি বাঁচেন মহিলারা। দেশে পুরুষদের গড় আয়ু ৬৮ বছর ৪ মাস। যেখানে মহিলাদের গড় আয়ু ৭১ বছর ১ মাস। পাশাপাশি গ্রামের মানুষের চেয়ে শহরের মানুষের আয়ু বেশি। শহরে বসবাসকারী মানুষের গড় বয়স ৭৩ বছর। ৬৮ বছর ৩ মাস বাঁচেন গ্রামের মানুষ।
বাঙালি ক''বছর বাঁচে?
এই রিপোর্ট অনুসারে,দেশের মধ্যে দিল্লিবাসী বেশিদিন বাঁচেন। এখানকার মানুষের গড় আয়ু ৭৫ বছর ৯ মাস। সর্বনিম্ন গড় আয়ু ছত্তিশগড়ের। যেখানকার মানুষ ৬৫ বছর ৩ মাস বাঁচেন। দিল্লির পরেই রয়েছে কেরল। সে রাজ্যে মানুষের গড় আয়ু ৭৫ বছর ২ মাস। গড় আয়ুর তালিকায় অষ্টমস্থানে পশ্চিমবঙ্গ। তার আগে আছে মহারাষ্ট্র, তামিলানাড়ুর মতো রাজ্য। বাঙালি গড়পড়তা বাঁচে ৭১ বছর। মহিলাদের গড় আয়ু ৭৩.২। আর ৭২.১ বছর বাঁচেন গড়পড়তা পুরুষ।
এই রির্পোটে বলা হয়েছে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর কত বছর আরও বাঁচতে পারেন ভারতীয়রা। উদাহরণস্বরূপ জন্মের সময় কারও গড় বয়স ৬৯ বছর ৭ মাস। সে যদি ১ বছর বয়সে পৌঁছে যায়, তাহলে ৭১.৩ বছর আয়ু হয়ে যায়। ৫ বছর বয়সে পৌঁছলে আরও ৬৭.৭ বছর বেশি বাঁচতে পারে। একইভাবে ১০ বছর বয়স অতিক্রম করার পরে ৬২.৯ বছর বেশি বাঁচতে পারে। ২০ বছর বয়সের পরে একজন ৫৩.৩ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারেন। ৩০ বছর বয়স অতিক্রম করার পরে আরও ৪৩.৯ বছর আয়ু থাকে। ৪০র পরে আয়ু ৩৪.৭ বছর। ৫০-র পরে আরও ২৬ বছর বাঁচা যায়। 60 পেরোলে ১৮.৩ বছর আয়ু থাকে। ৭০-এর পরে আয়ু থাকে আরও ১১.৮ বছর।