Advertisement

Weekend Destination: অবসর-নির্জনতা আর জঙ্গলে ঘেরা রোমাঞ্চ; ছুটির ঠিকানা বাঁকুড়ার বনলতা

Weekend Destination near Joypur Forest: যদি শীতকাতুরে না হন আর জঙ্গল-নির্জনতা ভালবেসেন, তাহলে আজ তেমনই একটা ছুটির ঠিকানার হদিস দেওয়া হল এই প্রতিবেদনে। কলকাতা থেকে মোটামুটি ৪-৫ ঘন্টার পথ। কীভাবে যাবেন, কত খরচ? জেনে নিন...

বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলের (Joypur Forest) কাছেই ছবির মতো সাজানো রিসর্ট বনলতা (Banalata Resort)।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 09 Jan 2023,
  • अपडेटेड 6:35 PM IST
  • কলকাতা থেকে মোটামুটি ৪-৫ ঘন্টার পথ।
  • বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলের (Joypur Forest) কাছেই ছবির মতো সাজানো রিসর্ট বনলতা।

Banalata Resort near Joypur Forest: শীতকালে ছুটির দিনগুলোয় ঘর-বন্দি হয়ে কাটাতে কার ভাল লাগে!  কিন্তু সপ্তাহান্তে দু’-এক দিনের জন্য কোথায় যাবেন ভাবছেন? যদি শীতকাতুরে না হন আর জঙ্গল-নির্জনতা ভালবেসেন, তাহলে আজ তেমনই একটা ছুটির ঠিকানার হদিস দেওয়া হল এই প্রতিবেদনে।

কলকাতা থেকে গাড়িতে ২ নম্বর স্টেট হাইওয়ে ধরে মোটামুটি সাড়ে চার-পাঁচ ঘন্টার রাস্তা পেরোলেই পৌঁছাবেন বাঁকুড়ার 'সবুজ দ্বীপ' জয়পুর জঙ্গলে (Joypur Forest)। আর এই জঙ্গল লাগোয়া ছবির মতো সাজানো রিসর্ট বনলতা (Banalata Resort)। এটাকে দেখে একটা ছোট গ্রামও মনে হতে পারে। এখানে কৃত্রিম গ্রাম্য পরিবেশে পরিবারের সঙ্গে এক-দু’রাত কাটিয়ে আসা যায় এই শীতে।

আরও পড়ুন: কলকাতার কাছেই ছবির মতো সাজানো ‘উইকএন্ড ডেস্টিনেশন’ মনচাষা

বাড়তি পাওনা:
এখানে এলে এখন মরসুমী নানা বাহারি ফুলে ভরা বাগান দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে। তাছাড়া বনলতার নিজস্ব খামারও ঘুরে দেখতে পারেন, যেখানে হাঁস-মুরগি-এমু সবই আছে। বনলতার তরফে জঙ্গল সাফারি আর মন্দির দর্শনের সুব্যবস্থা রয়েছে। কাছেই রয়েছে বিষ্ণুপুর (Bishnupur)। সেখানেও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তাই হাতে সময় থাকলে ওই জায়গাগুলো ঘুরে আসতে পারেন। ব্যবস্থা হয়ে যাবে বনলতা থেকেই।

আরও পড়ুন: কলকাতার কাছেই এক টুকরো ‘রঙিন অবসর’ বনবীথি

বনলতা থেকে বেরিয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে একটি চার মাথার মোড় থেকে বাঁদিকে ঘুরলেই দেখতে পাবেন পিয়ারডোবা এয়ারফিল্ড। এককালে এটি একটি বিমানবন্দর ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত চার বছর ব্যবহার করা হয়েছিল এই বিমানবন্দর। এর পাশেই রয়েছে জঙ্গল।

পেটপুজোর আয়োজনে:
এখানকার বৈশিষ্ট্য হল, এখানে যা কিছু খাবারদাবার পাওয়া যায় তার কাঁচামাল (শাক-সবজি-ডিম-মাংস) এই রিসোর্টেই উৎপাদিত হয়। হাঁস-মুরগি থেকে শুরু করে এমু, কোয়েল, টার্কি সবেরই চাষ হয় এটা ছাড়াও ওখানে থাকার আরও বেশ কয়েকটি রিসর্ট আছে, যেগুলির খরচ এটার তুলনায় অনেক কম। তবে এখানে খরচ একটু বেশি হলেও সুযোগ-সুবিধা, পরিবেশ একেবারে আলাদা।

Advertisement

বাঙালি থালি থেকে চাইনিজ-মুঘলাই— সব রকমের পদ এখানকার রেস্তোরাঁয় পেয়ে যাবেন। এখানে। এখানে এলে বণমুরগির কষা মাংস না খেলে ছুটিটা অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে। এছাড়াও এই সময়টায় এখানে এলে পাবেন পিঠেপুলি-পাটিসাপটার মতো মুখরোচক মিষ্টি। খাবারের দাম নাগালের মধ্যেই। স্বাদ মোটামুটি। তবে এখানে লজিং ও ফুডিং কিন্তু আলাদা।

থাকার খরচ, কটেজ ভাড়া:
বনলতা রিসর্টে (Banalata Resort) নানা বাজেটের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) ডাবল বেড রুমের ভাড়া শুরু হচ্ছে ২,২০০ টাকা থেকে। এছাড়াও রয়েছে তিন ধরনের কটেজ, যেগুলির ভাড়া ৬,৭২০ টাকা থেকে ১১,৮০০ টাকা পর্যন্ত।

ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহিত।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement