Advertisement

Akash Deep: আকাশদীপ ইস্টবেঙ্গলের অফার ফিরিয়ে থেকেছিলেন ইউনাইটেডেই, কোচ বললেন, 'সে জন্যই ও সফল'

ফুটবলে দলবদলের ঘটনা নিয়ে নানা গল্প শোনা যায়। কখনও কখনও অপহরণ, বোমাবাজির কথাও শোনা যেত। তবে ক্রিকেটের দলবদল নিয়ে আপাত ভাবে খুব বেশি হইচই শোনা যায় না। সেখানে গণ্ডগোল তো দূরের কথা। তবে ভারতীয় দলের তারকা হয়ে ওঠা পেসার আকাশদীপের দলবদলের ঘটনা কিন্তু অনেকটাই আলাদা।

আকাশদীপ, কোচ সৌতম মিত্রের সঙ্গে আকাশদীপ, কোচ সৌতম মিত্রের সঙ্গে
জাগৃক দে
  • কলকাতা,
  • 07 Jul 2025,
  • अपडेटेड 7:06 PM IST

ফুটবলে দলবদলের ঘটনা নিয়ে নানা গল্প শোনা যায়। কখনও কখনও অপহরণ, বোমাবাজির কথাও শোনা যেত। তবে ক্রিকেটের দলবদল নিয়ে আপাত ভাবে খুব বেশি হইচই শোনা যায় না। সেখানে গণ্ডগোল তো দূরের কথা। তবে ভারতীয় দলের তারকা হয়ে ওঠা পেসার আকাশদীপের দলবদলের ঘটনা কিন্তু অনেকটাই আলাদা।  

ইউনাইটেডে ক্লাব ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু আকাশদীপের। বাংলার ভিশন ২০২০-র অন্যতম সেরা ফসল এই পেস বোলার। এজবাস্টনে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট নেওয়া এই পেসার শিরোনামে। দুর্গাপুর থেকে ভিডিওকন অ্যাকাডেমিতে আকাশকে নিয়ে আসা কোচ সৌতম মিত্র জানালেন আকাশদীপের অজানা কাহিনী। 

ইউনাইটেডের হয়ে দারুণ ছন্দে ক্রিকেট খেলেছেন আকাশ। পেয়েছেন সৌরাশিস লাহিড়ি, রণদেব বসু, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। আর তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে গিয়েছেন। সে কারণেই এসেছে এই সাফল্য। তবে একটা সময় ময়দানের বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আকাশ। এক বছর পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লব মোহনবাগানে যোগ দিয়েছিলেন আকাশদীপ। এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তাঁর কোচ বলেন, 'একবার ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে কথা প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল আকাশের। বাংলার হয়ে এক সময় খেলা বাঁহাতি পেসার সৌরভ মণ্ডল যোগাযোগ করেছিলেন আকাশের সঙ্গে। ইস্টবেঙ্গলে নেওয়ার জন্য। কথা হয়েছিল আমার সঙ্গেও। আমি বলেছিলাম, অবশ্যই খেলবি। বড় দলে খেলবি না কেন? কিন্তু শেষে লাল-হলুদ শিবির থেকে আকাশকে কোনও অ্যাডভান্স দেওয়া হয়নি।' 

সেই সময়ই সৌতমকে প্রায় চমকে দেন আকাশ। বলেন, 'স্যর আমি ইস্টবেঙ্গলে খেলব না।' অবাক হয়ে যান সৌতম। আকাশ জানিয়ে দেন, তিনি খেলবেন ইউনাইটেডের হয়েই। কিন্তু আকাশকে পাবে না ধরে নিয়ে ততদিনে অন্য ক্রিকেটার নিয়ে ফেলেছিল ইউনাইটেড। ফের আকাশকে নেওয়ার টাকা কোথায়? আকাশ নিজেই জানান, 'স্যর যা দেবেন তাই নিয়েই খেলব।'

আকাশদীপ

এরপরের বছরেই আসে মোহনবাগানের প্রস্তাব। সৌতম বলছিলেন, 'একবার মোহনবাগানের প্রস্তাবও পেল। আমাকে জিজ্ঞেস করল, স্যর কত টাকার কথা বলব? শুনে বলি, টাকার কথা আমি কেন বলব? হেসে বলি, লোকে ভাববে আমার কাটমানি আছে। আসলে ও এরকমই। সহজ সরল। অনেককেই দেখেছি পরের পর্বে গেলে পাল্টে যায়। আকাশ এখনও একই আছে। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ ওর। কোচ ক্রিকেটার তৈরি করতে পারে না। যদি প্লেয়ারের নিজের ইচ্ছে না থাকে। কঠোর পরিশ্রমী ছেলে আকাশ। তারই পুরস্কার পাচ্ছে।' তৃপ্তি ঝরে পড়ল কোচ সৌতমের গলায়। 

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement