India Vs Australia 4th T20: ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টি-২০ সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ চতুর্থ ম্যাচ শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে ভারত সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে রয়েছে। প্রথম দুটি ম্যাচ জেতার পর তৃতীয় ম্যাচে ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় ইনিংসে ম্যাচ হারতে হয়েছে। আজ শুক্রবার রায়পুরে সিরিজ জিততে চাইবে ভারত। সেই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া চাইবে সিরিজে সমতা ফেরাতে। তবে এখন আলোচনার চর্চা খেলা নয়, স্টেডিয়াম নিয়ে। শিরোনামে উঠে এসেছে স্টেডিয়াম। কেন? আসুন জেনে নিই কী কারণ রয়েছে এর পিছনে?
স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া, তাই লাইন নেই
যে স্টেডিয়ামে আজ খেলা হচ্ছে, সেই শহীদ বীর নারায়ণ সিংহ স্টেডিয়ামের বিদ্যুতের বিল বকেয়া ৩ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। ১৪ বছর ধরে এই স্টেডিয়ামের বিদ্যুতের বিল জমা করেনি ছত্তিসগড় ক্রিকেট সংস্থা। সেই কারণে পাঁচ বছর আগে বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়। রায়পুরের মাঠের পরিস্থিতি লজ্জায় ফেলতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে।
১৪ বছর ধরে বিল জমা পড়ে না
১৪ বছর ধরে রায়পুরের সেই শহীদ বীর নারায়ণ সিংহ স্টেডিয়ামের বিদ্যুতের বিল বকেয়া ৩ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। বিদ্যুতের বিল জমাই করেনি ছত্তিসগড় ক্রিকেট সংস্থা। সেই কারণে পাঁচ বছর আগে বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। এই মাঠেই শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে ভারত অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে টি-টয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ। এই স্টেডিয়ামের রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব পিডব্লিউডির। এই পরিস্থিতিতে কি রায়পুরের এই স্টেডিয়ামে রাতে ফ্লাড লাইটে খেলা হওয়া সম্ভব?
আদৌ হবে খেলা?
শুক্রবারের ম্যাচের জন্য ছত্তিসগড় ক্রিকেট সংস্থার অনুরোধে সাময়িক বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তাতে আলো জ্বলবে শুধু গ্যালারি এবং বক্সে। মাঠের ফ্লাডলাইট জ্বালানো হবে জেনারেটর দিয়ে। এতে রাতে খেলা হতে অসুবিধে নেই। কিন্তু জেনারেটর চালিয়ে পুরো ম্যাচ খেলানোর ঘটনা এই প্রথম। এই পরিস্থতিতে বিপাকে পড়েছে বিসিসিআই। ক্রিকেটের এই নিয়ামক সংস্থার এক কর্তার বক্তব্য, আগে জানা থাকলে রায়পুরে এই ম্যাচ দেওয়াই হত না।
কী বলছেন ছত্তিসগড় ক্রিকেট সংস্থা?
ইন্ডিয়া টুডের তরফে স্পষ্টিকরণের জন্য CSCS সভাপতি জুবিন শাহের কাছে পৌঁছনোয়, তিনি বলেন যে এটি একটি আন্তঃসরকারি সমস্যা, ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এর সঙ্গে কিছু করার নেই। আমি রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করব যত তাড়াতাড়ি সমস্যাটি সমাধান করা হোক।”
চলছে দোষারোপের খেলা। ছত্তিশগড় স্টেট পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিএসপিডিসিএল) নির্বাহী সম্পাদক সন্দীপ কুমার ভার্মা বলেছেন, '২০১০ সাল থেকে মোট ৩.১৬ কোটি মুলতুবি রয়েছে, স্টেডিয়ামের বিদ্যুতের তত্ত্বাবধানকারী পিডব্লিউডি বিভাগ ৬০০ কেভির বেশি বিদ্যুৎ নিয়েছিল নির্মাণের সময়। বকেয়া পরিমাণ আজ পর্যন্ত অপরিশোধিত রয়ে গেছে। আমরা অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নিচ্ছি। যাইহোক, ছত্তিশগড় সরকার আশ্বস্ত করেছে যে PWD বিভাগ বা স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণের তত্ত্বাবধানকারী কমিটি দ্বারা বিলটি শীঘ্রই পরিশোধ করা হবে।
২০১৮ সাল থেকেই বিদ্যুৎ নেই
২০১৮ সালে রায়পুরের স্টেডিয়ামে একটি হাফ ম্যারাথন আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময় খেলোয়াড়েরা বুঝতে পারেন যে, ওই স্টেডিয়ামে কোনও বিদ্যুৎ নেই। তখনই জানা গিয়েছিল যে, ২০০৯ থেকে বিদ্যুতের বিল জমা দেয়নি ছত্তীসগঢ় ক্রিকেট সংস্থা। জানা গিয়েছে, রায়পুর স্টেডিয়াম তৈরি হওয়ার পর সেটার দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পিডব্লিউডি-কে।