দারুণ হাফসেঞ্চুরি করে সকলের নজর ঘুরিয়ে দিলেন বাংলার ক্রিকেটার আকাশদীপ। শুধু তাই নয়, ভারতীয় দলকে দাঁড় করিয়ে দিলেন শক্ত ভিতের উপর। নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নেমে ইংল্যান্ডের পিচে ৬৬ রান করা একজন বোলারের পক্ষে মুখের কথা নয়। আর সেটাই করে দেখালেন আকাশদীপ। তবে ছোট থেকেই বোলিং-এর পাশাপাশি ব্যাটিংও করতে চাইতেন আকাশ জানালেন তাঁর কোচ সৌতম মিত্র।
ইনিংসটা দেখতেই পেলেন না ছোটবেলার কোচ
ছাত্র হাফ সেঞ্চুরি করলেও, কোচের আক্ষেপ তিনি ইনিংসটা দেখতে পারলেন না। bangla.aajtak.in-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌতম বলেন, 'আমার আজ কোচিং ক্যাম্পে কাজ ছিল। তাই ইনিংসটা দেখা হয়নি। তবে ও প্রথম থেকেই ব্যাট করতে চাইত।' ক্লাব ক্রিকেটের এক দিনের কথা তুলে ধরে সৌতম বলেন, 'ও একবার বলেছিল ব্যাটিং-এ উপরের দিকে নামবে। আমি হেসে বলেছিলাম, আমার দলটা অল আউট হয়ে যাবে।' তবে ও আমাকে ভুল প্রমাণ করেছে।'
রঞ্জিতেও হাফ সেঞ্চুরি আছে আকাশদীপের
অস্ট্রেলিয়া সফরে প্যাট কামিন্সকে মারা ছক্কার কথা মনে করিয়ে দিতেই, সৌতম মনে করিয়ে দিলেন, রঞ্জি ট্রফিতেও হাফ সেঞ্চুরি করার রেকর্ড আছে আকাশের। তাও আবার মাত্র ১৮ বলে। সেবার ঝাড়খন্ডের বিরুদ্ধে আটটা ছক্কা এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। লেন্ডল সিমন্সের বিশ্বরেকর্ড ভেঙ্গেছিলেন বাংলার ফাস্ট বোলার। সৌতম বলেন, 'আমি ওর এই ইনিংসটা না দেখলেও, জানি ও কিন্তু সোজা ব্যাটে খেলে। আড়া মারার চেষ্টা করে না। ওয়াশিংটন সুন্দরের পর ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ব্যাটিং-এর দিক থেকে ও ২ নম্বরে থাকবে।'
খুশি গম্ভীরও
আকাশদীপের এই ইনিংস দেখে চওড়া হাসি ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের মুখেও। সে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তবে ছোট থেকে আকাশদীপকে কোনও ব্যাটিং টিপস দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে সৌতম বলেন, 'মিথ্যে বলব না। আমি কোনওদিন ওকে ব্যাটিং টিপস দিইনি। ও নিজে থেকেই যা শেখার শিখেছে।' পাশাপাশি আরও একটা ঘটনার কথা উল্ল্যেখ করেন সৌতম। তিনি জানান, 'একবার কদম্বগাছিতে এক বেসরকারি স্কুলের মাঠে বিশাল একটা ছক্কা মেরেছিল আকাশদীপ। সেটা মাঠ তো বটেই, সব ছাড়িয়ে গিয়ে পড়ে সুইমিং পুলে। আমরা অবাক হয়েছিলাম।'
এদিন ৯৪ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন আকাশদীপ। তাঁর ইনিংসে ছিল ১২টা চার। ইংল্যান্ড ফিল্ডারদের বেশ কয়েকবার সুযোগ দিলেও সেই সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারেননি। আর সেটাই দুই হাতে লুফে নেন আকাশদীপ।