ইংল্যান্ডে মহম্মদ সিরাজের পারফর্ম্যান্সে মুগ্ধ সচিন তেন্ডুলকার। ভূয়সী প্রশংসাই শুধু করলেন না, সিরাজ যে তাঁর প্রাপ্য ক্রেডিট পাননি, তাও স্পষ্ট বলে দিলেন। সচিনের বক্তব্য, সিরাজ যতটা ভাল খেলেছেন, সেই তুলনায় তাঁকে প্রাপ্য ক্রেডিট দেওয়া হল না। একই সঙ্গে শুভমান গিলের অধিনায়কত্বেরও প্রশংসা শোনা গেল সচিনের গলায়। সিরাজের পারফর্ম্যান্সকে অবিশ্বাস্য বললেন তেন্ডুলকার।
ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ শেষ হয়েছে ২-২ রেজাল্টে। বিদেশের মাটিতে গিয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়। শেষ দিনের ওভাল টেস্ট ছিল একেবারে নাটকীয়। সেই সিরিজের পর এবার মুখ খুললেন ‘ক্রিকেটের ভগবান’ সচিন তেন্ডুলকার। তিনি প্রশংসা করলেন বেশ কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটারের, কিন্তু সবচেয়ে আলাদা করে বললেন একটাই কথা, 'মহম্মদ সিরাজ যতটা কৃতিত্ব পাওয়ার কথা, ততটা পাননি।'
সিরাজের মানসিক জোরে মুগ্ধ সচিন
সচিনের মতে, সিরাজ শেষ টেস্টে এমন একটা স্পেল করেছেন, যেটা পুরো ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়। তাঁর কথায়, 'সাম্প্রতিক সময়ে ইংল্যান্ডে কোনও ভারতীয় পেসারের এমন স্পেল খুব কমই দেখা গিয়েছে।' সিরিজে সবচেয়ে বেশি ১১১৩টি বল করেছেন সিরাজ। বুমরা না থাকায় দুই টেস্টে পুরো দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন। পেয়েছেন সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট। তেন্ডুলকার মুগ্ধ তাঁর গতি, এনার্জি আর আগ্রাসী মানসিকতায়। বলছেন, যে কোনও ব্যাটার যদি বারবার দেখে, একজন বোলার ওর সামনে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে, সেটা খুব অস্বস্তিকর। সিরাজ সেটাই করে গিয়েছে। শেষ দিনেও সিরাজ ১৪৫ কিমি/ঘণ্টা গতিতে বল করে গিয়েছে। ১০০০’র বেশি বল করেও ক্লান্তি ছিল না। এটা ওর মানসিক জোরের প্রমাণ।
পন্ত, রাহুল, গিল, ও যশস্বীর জন্যও প্রশংসা
এক পায়ে ভর করে সিরিজের শেষ হাফ-সেঞ্চুরি করা পন্থের স্ট্রোকপ্লে দেখে তেন্ডুলকার বলেছেন, 'ওর ব্যাটিং ঈশ্বরের উপহার।' শুভমান গিল করেছেন ৭৫৪ রান, রাহুল ৫৩২। সচিনের মতে গিল ও রাহুলের, দু’জনের ফুটওয়ার্ক দুর্দান্ত ছিল। গিলের মানসিক পরিষ্কার ভাবনা ফুটওয়ার্কে প্রতিফলিত হয়েছে। রাহুল ব্যাটের কাছে বল এনে অফ স্টাম্পের বাইরে বল ছেড়ে দিচ্ছিলেন বুঝেশুনে।
যশস্বীর প্রশংসায় সচিন বললেন,দুটো সেঞ্চুরি, ম্যাচ ধরে রাখার ইনিংস, আর নন-স্ট্রাইক প্রান্তে আকাশ দীপকে প্রেরণা দেওয়ার কাজ , এটা শুধু রান করার লড়াই না, এটা ক্রিকেট বোঝার পরিচয়।
সিরাজের আরও প্রশংসা প্রাপ্য ছিল
এই সিরিজে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনেকেই নজর কাড়েন। কিন্তু সচিনের মতে, সিরাজ ছিলেন সেই যুদ্ধের 'নীরব সেনাপতি', যিনি দলের প্রয়োজনে জ্বলে উঠেছেন, অথচ ততটা আলোয় আসেননি। 'উনি যা করেছেন, তার জন্য আরও বেশি প্রশংসা প্রাপ্য,'সচিনের সোজাসাপটা মন্তব্য।