East Bengal Ankit Mukherjee: চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL)-এ ইমামি ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স একদম তলানিতে। হারতে হারতে দলের পারফরম্যান্স শূন্যের কাছকাছি। তাপ মধ্যে শুক্রবার কোনও মতে একখানা ম্যাচ জিতে ফেলেছেন তাঁরা। কোথায় স্বস্তি ফিরবে তা নয় নতুন বিতর্কে ফের বিদ্ধ হয়েছে লাল-হলুদ বাহিনী। শুক্রবার কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। ম্যাচ চলাকালীন যা ঘটল, তাদের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের গৌরবের কালির ছিটে লাগল বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুনঃ IPL-এ বড় চমক, ঘরে বসেই ঠিক করতে পারবেন মাঠের কোন এন্ড থেকে খেলা দেখবেন
ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন দলের সাইড ব্যাক অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়কে মাঠ থেকে তুলে নেন। এত তাড়াতাড়ি তুলে নেওয়াটা ভালোভাবে নেননি অঙ্কিত। মাঠ থেকে বেরিয়েই জার্সি খুলে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে গোটা ঘটনা রেকর্ঢ হয়ে যায় টেলিভিশন ক্যামেরায়। সেই ভিডিয়ো মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সমর্থকেরা যেমন অঙ্কিতের বিরুদ্ধে জার্সির অপমান করায় প্রতিবাদ করেন। তেমন মোহনবাগান সমর্থকেরাও ধিক্কার জানান। এমনকী ইস্টবেঙ্গলের অঙ্কিতের ভবিষ্যৎ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচ।
যদিও শনিবার নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ভুল স্বীকার করে নেন অঙ্কিত। তিনি লেখেন, ‘আমার এই আচরণ অনেককেই আঘাত দিয়েছে। আমাকে তারা ভুল বুঝেছে। আমি কখনও ক্লাবের সমর্থকদের অসম্মান করতে চাইনি। ম্যাচে যে আঘাত পেয়েছিলাম, সেই কারণেই আমাকে বসিয়ে দেওয়া হয়। ওই মুহূর্তে রাগের সময় মাথা ঠিক ছিল না। তাই ওই কাজটা অনিচ্ছাকৃত করে ফেলি। এর মানে কোনও ব্যক্তি বা ক্লাবের বিরুদ্ধে আমার কোনও ক্ষোভ রয়েছে বা তাদের বিষোদগার করেছি তা নয়। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্যই আমি এতদূর পৌঁছেছি।’
আরও পড়ুনঃ অবিকল 'অশ্বিন'! ভারতে 'নকল'-র বোলিংয়ে স্পিনের মহড়া অস্ট্রেলিয়ার
অঙ্কিত আরও লেখেন, ‘এই ক্লাবেই আমি পেশাদার ফুটবল জীবন শুরু করেছিলাম। আমার গোটা পরিবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কাছে কৃতজ্ঞ। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে অসম্মান করার কথা আমি কল্পনাও করতে পারি না। ১৪ বছর পয়স থেকে আমার সত্তায় ইস্টবেঙ্গল। আমার প্রাণের রং লাল-হলুদ। ওই বয়সেই আমি অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে খেলি। আমার তাৎক্ষণিক সম্পূর্ণ রাগের মাথায় দেওয়া প্রতিক্রিয়ার জন্য যাঁরা আমাকে ভুল বুঝে মনোকষ্ট পেয়েছেন, যন্ত্রণাবিদ্ধ হয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে এমন কোনও কাজ করব না যাতে ক্লাবের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। আমায় মার্জনা করবেন।’