মায়ের প্রয়াণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মাঠে নেমে দলকে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) বিরুদ্ধে কলকাতা লিগের ম্যাচে জিতিয়েছিলেন অর্ণব দাস (Arnab Das)। তাঁর দুরন্ত গোলকিপিংয়ের সুবাদেই জয় পায় পাঠচক্র (Pathchakra)। তার চার দিনের মাথায় অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় শিবিরে ডাক পেলেন। অর্ণব দাস ছাড়াও ডাক পেয়েছেন মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের দীপেন্দু বিশ্বাস, সুহেল ভাট, আদিত্য মণ্ডল এবং ইউনাইটেড স্পোর্টসের সাহিল হরিজন।
বয়সভিত্তিক এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের জন্য ১ আগস্ট থেকে বেঙ্গালুরুতে প্রস্তুতি শিবির শুরু হবে। জাতীয় শিবিরে ডাক পেয়ে অদ্ভুত অর্ণব। শিমুরালীর ২৩ বছর বয়সি গোলরক্ষক বলছিলেন, 'স্বপ্নপূরণ হল। একটাই আফশোস মা-বাবা দেখে যেতে পারলেন না।' একটু থেমে তাঁর সংযোজন, 'এমন একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। খবরটা পেয়ে খুবই খুশি। প্রস্তুতি শিবিরে নিজেকে আরও ধারালো আর তোলাই লক্ষ্য। কারণ চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা পেতেই হবে।
সাহিল হরিজন এবারের কলকাতা লিগে দারুণ ছন্দে। এরিয়ান ক্লাবের বিরুদ্ধে পাঠচক্রের ২-১ জয়ের প্রধান কান্ডারি ছিলেন এই সাহিল। বল ধরতে গিয়েই কিছুটা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছিলেন এই তরুণ স্ট্রাইকার। কোনওমতে নিজেকে সামলে উঠেই গোলের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন সাহিল। একের পর এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পেনাল্টি বক্সের সামনে এসে দ্বিতীয় পোস্টের দিকে শট করেন। একেবারে টপ কন্টর দিয়ে বল জালে জড়ান। গোলকিপারের কিছুই করার ছিল না।
গতবারের মাসে এবারেও তাঁকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখছে পাঠচক্রন ২০২৩-এর কলকাতা লিগে সাদার্ন সমিতির বিরুদ্ধে বাইসাইকেল কিকে গোল করে নজরে এসেছিলেন যাহিল। যে সময় তিনি ছিলেন পাঠচক্রের ফুটবলার। বিরতির আগে এক গোলে পিছিয়ে পড়েছিল তাঁর দল। সেখান থেকে দলকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন সাহিল হরিজন। মাঠের ডান প্রান্ত থেকে ভেসে আসা ক্রসে শরীর শূন্যে ছুঁতে দিয়ে গোল করেছেন এই করেন এই তরুণ। সেই সময় থেকেই সাহিল কলকাতা লিগে নাম করেন। আর এবারও তিনি দারুণ ছন্দে।