এবারের ডুরান্ড কাপ নিয়ে শুরু হয়েছে জটিলতা। একাধিক আইএসএল ও আই লিগের দল খেলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যেই সুযোগ পেয়ে গিয়েছে ডায়মন্ডহারবার এফসি। সূত্রের খবর তাদের সঙ্গে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ডুরান্ড কাপ। ডায়মন্ডহারবারে সই করেছেন ব্রাইট এনোবাখারে। ফলে এবার ব্রাইট বনাম মোহনবাগান লড়াই দেখা যাবে কলকাতায়।
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে যখন ব্রাইট খেলতেন তখন অতিমারির কারণে ম্যাচগুলো হত গোয়ায়। দর্শকদের ঢোকার অনুমতি ছিল না। তবে এবার ডুরান্ড কাপে সেই নিষেধাজ্ঞা নেই। ফলে ২৩ জুলাই যুবভারতীতে মোহনবাগান ও ডায়মন্ড হারবার এফসির মধ্যে উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে পাবেন সমর্থকরা। এবারেও ডুরান্ড কাপের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকবেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর বিশিষ্ট পদাধিকারীরা।
ডুরান্ড কাপের ডার্বি কবে?
মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল বড় ম্যাচের দিন ধার্য হয়েছে ১০ আগস্ট। একটি সেমিফাইনাল কলকাতায়, আর একটি সেমিফাইনাল শিলংয়ে রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২৩ আগস্ট কলকাতায় ফাইনাল হওয়ার কথা রয়েছে। তবে স্থানীয় দল ফাইনালে না উঠলে ম্যাচ শিলংয়ে সরতে পারে।
কোন কোন দল নাম প্রত্যাহার করেছে?
এফএসডিএল ও ক্লাবের বৈঠকে আইএসএল ঘিরে জটিলতাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় ফুটবলে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। আইএসএল শুরুর দিন জানা গেলে প্রাক্ মরশুম অনুশীলনে নামবে অধিকাংশ দল। আর সেটা না হলে সেই দলগুলোর বিনা প্রস্তুতিতে কোনও টুর্নামেন্টে খেলা সম্ভব নয়। এই তালিকায় একাধিক ক্লাব রয়েছে। যার প্রভাব পড়তে চলেছে আসন্ন ডুরান্ড কাপ টুর্নামেন্টে। ইতিমধ্যেই এফসি গোয়া, হায়দরাবাদ এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি, চেন্নাইন এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স জানিয়েছে তারা ডুরান্ডে খেলবে না। এছাড়া আই লিগের ঝামেলায় জর্জরিত ইন্টার কাশী ছাড়া নেরোকাও ডুরান্ডে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। আর ফেডারেশনের একাধিক কার্যকলাপে চার্চিলও বেশ ক্ষুব্ধ। যদিও ডুরান্ড সেনাবাহিনীর টুর্নামেন্ট, ফেডারেশন বা এফএসডিএলের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তবু ডুরান্ডে খেলতে রাজি নয় চার্চিল।