ময়দানে ফুটবল ফিরলেও, লাল-হলুদের গ্যালারি বলে দিচ্ছিল, এখনও আড় ভেঙে উঠতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। ঠিক ম্যাচেও দেখা গেল তেমনটাই। শুরুটা ভাল করতে না পারলেও, প্রথমার্ধের শেষদিক থেকে জ্বলে উঠল ইস্টবেঙ্গল। ইউনাইটেড কলকাতাকে ৩-০ গোলে হারাল তারা।
প্রথমার্ধে একেবারেই চেনা ছন্দে দেখা যায়নি ইস্টবেঙ্গলকে। একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে সমর্থকদের হাসি মুখে ফোটান নাসিব রহমান। গোল করার সুযোগ যে আসেনি তা বলা যাবে না। তবে কাজের কাজ হচ্ছিল না। পাল্টা গোল করার সুযোগ এসেছিল ইউনাইটেড কলকাতার কাছেও। তবে সে ক্ষেত্রে বাঁচান লাল-হলুদ গোলকিপার। ৩০ মিনিটে সমীর বাইন গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সামনে ছিলেন শুধু গৌরব শ। এগিয়ে এসে পা দিয়ে কোনোমতে গোল বাঁচান ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার।
৩৭ মিনিটে ডেভিডের পাস বিষ্ণু অনেকটা বল টেনে নিয়ে গেলেও শট টেকাঠির মধ্যে রাখতে পারেননি। পরের মিনিটেই শ্যামল বেসরা সহজ হেড মিস করেন। ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে গোল করেন নাসিব রহমান। বাঁ দিক থেকে আমান সিকের ক্রস মিট করে গোল করেন নাসিব।
বিষ্ণুর গোল ৪৮ মিনিটে, ফ্রিকিক থেকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ইউনাইটেড কলকাতার প্রাচীর ভেদ করে তা জালে আশ্রয় নেয়। এরপর শুভ বিশ্বাস গোল লাইন সেভ না করলে লজ্জা আরও বড়ত ইউনাইটেড কলকাতার। ৫৮ মিনিটে তন্ময়ের বাড়ানো দারুণ পাস মনোতোষ মাঝি পেয়েই শট করলেও তা বাইরে চলে যায়। তৃতীয় গোলটা আসে পেকা গুইতের কাছ থেকে। ৬৮ মিনিটে গুইতে বক্সের ভেতর ঢুকে ড্রিবিল করে সোজা গোলে শট করেন। ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ।
এরপর বারবার সুযোগ পেলেও, ব্যবধান বাড়াতে পারেনি লাল-হলুদ। সেটা হলে কিছুটা হলেও আরও ভাল জায়গায় থাকতে পারত বিনো জর্জের দল। তবে তা হল না। যদিও দলে তিন তারকা ফিরে এলে তারা যে আরও শক্তিশলি হবে তা বলাই বাহুল্য।