বৃহস্পতিবার কলকাতায় আইএসএল-এর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও ওড়িশা এফসি (East Bengal vs Odisha FC)। সেই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের (East Bengal Fans) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনল ওড়িশার ক্লাব। ওড়িশা এফসি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। তাদের অভিযোগ, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার দিয়েগো মরিশিওকে (Diego Mauricio) বর্ণবিদ্বেষ মূলক মন্তব্য করেছে লাল-হলুদ সমর্থকরা।
দিয়েগো মরিশিওর পাশে ওড়িশা
ওড়িশা এফসি ৯Odisha FC) তাদের ফুটবলারের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘটনা ঘটে, ম্যাচের ৪৩ মিনিটে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের অভিযোগ, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের প্লে অ্যাক্টিং-এর জন্যই লাল কার্ড দেখতে হয় জিকসন সিং-কে। বলটা সেই সময় ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারের দখলেই ছিল। তাঁর হাত সোজা গিয়ে লাগে মরিশিওর গলায়। তারপরেই মাঠে শুয়ে কাতরাতে শুরু করে দেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের অভিযোগ, জিকসনকে লাল কার্ড দেখানোর পরেই, মরিসিও উঠে পড়েন। চোট পাওয়া ফুটবলার কীভাবে এত তাড়াতাড়ি উঠে পড়লেন? তা হলে কী প্লে অ্যাক্টিং করেছিলেন দিয়েগো মরিশিও? তবে কোনওভাবেই বর্ণবিদ্বেষ মূলক মন্তব্য সমর্থনযোগ্য নয়। আর সেটাই তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে ওড়িশা এফসি।
তালালের চোট ও জিকসনের লাল কার্ড হারিয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল
ম্যাচের মাত্র দশ মিনিটেই উঠে যেতে হয় তালালকে। পাঁচ মিনিটের মাথায় হুগো বুমোসের সঙ্গে সংঘর্ষ। আর তাতেই হাঁটুতে চোট পান। মাঠে এবং মাঠের বাইরে বেশ কিছু ক্ষণ চিকিৎসা চললেও বোঝাই যাচ্ছিল আর পারবেন না। মিনিট তিনেক পর কিছুটা জোর করেই যেন মাঠে নামলেন। মাঠে নেমেও খোঁড়াচ্ছিলেন তালাল। দশ মিনিট যেতে না যেতেই পড়ে যান। স্ট্রেচারে চড়িয়ে মাঠ থেকে বের করতে হয় তাঁকে। ম্যাচ শেষে ওড়িশার দুই ফুটবলারের কোলে চড়ে মাঠের বাইরে যান ফরাসি তারকা।
লালচুংনুঙ্গা ইস্টবেঙ্গলকে দারুণ গোল এনে দেন। নাওরেম মহেশের কর্নার লাফিয়ে ধরতে গিয়েও ফস্কান অমরিন্দর সিং। বক্সের জটলায় বল চলে যায় হিজাজি মাহেরের পায়ে। তাঁর শট মুর্তাদা ফল কোনওমতে আটকে দিলেও, ফিরতি বল গোলে ঠেলে দেন লালচুংনুঙ্গা। তবে সেই লিড বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি লাল-হলুদ। গোলকিপার প্রভসুকান গিলের ভুলে সমতা ফেরায় ওড়িশা।
ইসাক রালতের পাস থেকে জেরি বল পেয়ে দেখতে পান প্রভসুকান প্রথম পোস্ট ফাঁকা করে দাঁড়িয়ে আছেন ক্রসের অপেক্ষায়। তাই ফাঁকা প্রথম পোস্ট লক্ষ্য করে হালকা শট মেরেছিলেন জেরি। সেই শট প্রথম পোস্ট দিয়ে ঢুকে যায়। এ সব ক্ষেত্রে ফুটবলার ক্রস করার পর প্রথম পোস্ট ছেড়ে দ্বিতীয় পোস্টের দিকে ছুটে যান গোলকিপারেরা। তবে প্রভসুখনের অনুমানক্ষমতা এ ক্ষেত্রে ভুল প্রমাণিত হয় এবং দাম চোকাতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে।
আনোয়ারের ভুলেই দ্বিতীয় গোল খেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। সারা ম্যাচ দারুণ খেললেও, শেষে এসে ভুল করেন তিনি। ডান দিক থেকে মোরিসিও বল নিয়ে ঢোকার সময় তিনি আগেই ফাইনাল ট্যাকলে চলে যান। মোরিসিয়ও সহজেই আনোয়ারের পাশ দিয়েই কাটিয়ে ভেতরে ঢুকে বুমোসকে নিখুঁত পাস দেন। গোল করতে ভুল করেননি ফরাসি ফুটবলার।